১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রামগঞ্জে চাঁদা দাবির ঘটনায় আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ : আহত ৮

-

জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দল্টা বাজারে চাঁদার দাবিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গত সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন : ডাক্তার হুমায়ুন কবীর, যুবলীগ নেতা আরাফাত হোসেন রনি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক জাকির হোসেন পাটওয়ারী, দল্টা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজল পাটওয়ারী, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হালিম মেম্বার, ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি কবির হোসেন সুমন ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ বাবু।
আহতদের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দল্টা সরকারি হাসপাতালের ইনচার্জ ও উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার হুমায়ুন কবীর জানান, তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা জাকির পাটওয়ারী দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় ট্রলি ও মাটি কাটার ব্যবসায় চালিয়ে আসছে। গত শুক্রবার সকালে হঠাৎ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহীদ হাসান, সহসভাপতি কবির হোসেন সুমন ও ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল হালিমের নেতৃত্বে ট্রলি চলাচল বন্ধ করে দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। তাদের প্রতি মাসে ট্রলিপ্রতি পাঁচ হাজার ও প্রতি পিকআপ ১০ হাজার টাকা দেয়ার জন্য হুমকি দেয়।
হুমায়ুন বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়টি আমরা দলের সিনিয়র নেতাদের জানালে তারা কৌশলে বাজারের ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় সমাধানের কথা বলে আমার দোকানে বসে। হঠাৎ বাজারের বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় তাদের হামলায় আমিসহ যুবলীগ নেতা আরাফাত হোসেন রনি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক জাকির হোসেন পাটওয়ারী, দল্টা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজল পাটওয়ারী মারাত্মক আহত হন।
তবে চাঁদা দাবির বিষয় অস্বীকার করে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহীদ হাসান জানান, ঘটনাটি ডাহা মিথ্যা। ট্রলি চলাচলের কারণে রাস্তা নষ্ট হওয়ায় ট্রলি মালিককে ট্রলি বন্ধ রাখতে বলা হয়। স্থানীয় লোকজন ট্রলি চলাচলের কারণে আওয়ামী লীগ নেতাদের গালাগাল করায় আমরা বারবার জাকির পাটওয়ারীকে সতর্ক করে দিলে তিনি আমাদের উল্টো দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরে আমি দল্টাবাজার গেলে ডাক্তার হুমায়ুনের লোকজন প্রাইভেটকার দিয়ে আমার মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে আমি আহত হই।
এ ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে আমরা স্থানীয় গণ্যমান্য লোকদের উপস্থিতিতে দল্টা বাজারে বৈঠকে বসলে ডাক্তার হুমায়ুনসহ ১৫-২০ জন লোক আমাদের ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা করে। এ সময় হামলায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হালিম মেম্বার, ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি কবির হোসেন সুমন ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ বাবু ও আমি আহত হই।
ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জানান, চাঁদাদাবির ঘটনা ভিত্তিহীন। মূলত ট্রলি চলাচলে রাস্তা নষ্ট হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা জাহীদ হাসান, মেম্বার আবদুল হালিম, যুবলীগ নেতা কবির হোসেন সুমন ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ বাবুর ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা।
রামগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ফজলুর রহমান জানান, সালিস বৈঠকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল