নয়াপল্টনে পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল : মনিরুল ইসলাম

রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকের ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ কথা বলেন। এদিকে নয়াপল্টনে সেদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় আরো ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মনিরুল ইসলাম বলেন, নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্যে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে হামলা ছিল পরিকিল্পত। হামলা করবে বলে তারা ঘটনাস্থলে লাঠি মজুদ করে রেখেছিল। পুলিশকে টার্গেট করে হামলার কারণ হিসেবে তিনি বলেন ‘তারা চেয়েছিল পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশও নির্বিচারে অভিযান চালাবে। সেই ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন মহলে দেখিয়ে তারা রাজনৈতিক ফায়দা নিতে পারবে। মনিরুল ইসলাম বলেন, ডিএমপির যে সমতা রয়েছে, তাতে সেদিন হামলাকারীদের সরিয়ে দিতে সর্বোচ্চ ৫-৭ মিনিট সময় প্রয়োজন হতো। কিন্তু সেদিন পুলিশ কোনো অ্যাকশনে যায়নি।
তফসিলের পর বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে পুলিশ-বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, যেখানে ফৌজদারি অপরাধ হবে সেখানেই পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করবে। ফৌজদারি অপরাধীদের ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ নয়াপল্টনে হেলমেট পরা হামলাকারীরা গ্রেফতার হচ্ছে; কিন্তু গত ৫ আগস্ট নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় সায়েন্স ল্যাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা কেন গ্রেফতার হয়নি- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার তদন্ত চলছে। যেখানেই ফৌজদারি অপরাধ ঘটবে সেখানে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তরুণ নিহতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। একজন গ্রেফতার হয়েছিল। আদালত তাকে জামিন দিয়েছে।
এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকা থেকে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন ১১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থীএইচ কে হোসেন আলী, শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ভূঁইয়া, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্বাস আলী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রবিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন উজ্জ্বল ও তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি মাহাবুবুল আলম। এর মধ্যে হোসেন আলী হেলমেট পরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। বিভিন্ন ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করে পুলিশ।