২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টেকনাফে ও কুতুবদিয়ায় ’বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক কারবারিসহ নিহত তিন

৮ অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার
-

কক্সবাজারের টেকনাফেথর্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ইয়াবা, দু’টি অস্ত্র ও আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক। ভোররাতে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কেরুণতলী এলাকায় মাদক কারবারিদের সাথে র্যাবের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত আশিক জাহাঙ্গীর (৩২) ট্রাকচালক ও ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি এলাকার মো: আব্দুল হাকিমের ছেলে এবং মো: আরিফ হোসেন (৩০) নারায়ণগঞ্জ জেলার তল্লাবড় মসজিদ এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে। তাদের মধ্যে আশিক জাহাঙ্গীরকে ড্রইভিং লাইসেন্স অনুযায়ী ও আরিফ হোসেনকে ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান র্যাব।
র্যাব-৭ টেকনাফ সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. মির্জা শাহেদ জানান, একটি ট্রাকে করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ এর একটি দল সড়কের কেরুণতলী নামক স্থানে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। এ সময় ট্রাকটি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উপস্থিত র্যাব সদস্যরা থামানোর সঙ্কেত দিলে তা অমান্য করে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে র্যাবও পাল্টা গুলি করলে একপর্যায়ে ট্রাকটি থামে। এ সময় ট্রাকটি তল্লাশি করে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ইয়াবা দু’টি অস্ত্র ও আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। একইসাথে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ দু’টি জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে।
অপর দিকে, কুতুবদিয়ায় র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু দিদারুল ইসলাম (৩২) নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি ও গুলির ৯টি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ভোর ৪টায় দিকে মধ্যম আমজাখালী এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত দিদারুল ইসলাম কুতুবদিয়ার লেমশীখালী এলাকার মৃত ইউসুফ নবীর ছেলে।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. মেহেদী হাসান জানান, একদল জলদস্যু সাগরে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নেয়ার সংবাদে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে জলদস্যুরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জলদস্যু সর্দার দিদারুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সাতটি দেশী একনলা বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, গুলির ৯টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দিদারের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, সন্ত্রাসী ও ধর্ষণসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement