পোকামাকড়ে চাষের উন্নতি!
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
চাষাবাদের উন্নতিতে জার্মান বিজ্ঞানীরা দমনের বদলে পোকামাকড় আকর্ষণ করে বিকল্প পদ্ধতি তুলে ধরছেন। বন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা কাছের একটি শহরের ক্ষেতে নিয়মিত কীটপতঙ্গ পর্যবেক্ষণ করেন। কীটপতঙ্গ দূর করার বদলে কৃষিকাজকেই পোকার সাথে মানিয়ে চলতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এ কাজ করতে গিয়ে সবার আগে ক্ষেতের আলের দিকে চোখ পড়ে তাদের। ঝোপঝাড় ও জংলি ফুল দিয়ে সাজানো সেই সীমানা। সেই ঝোপে ৫০টির বেশি প্রজাতির গুবরে পোকা শীতযাপন করে। বসন্তে জেগে ওঠে।
বন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর টোমাস ড্যোরিং বলেন, এটা এক ধরনের গুবরে পোকা, তা ফসলের ক্ষতি করে এমন অনিষ্টকারী কীট খেয়ে ফেলে। প্রফেসর ড্যোরিং ও তার দল ফসলের ক্ষেতে এ রকম আরো কীটপতঙ্গ আকর্ষণ করতে চান।
কৃষি পরিবেশবিদরা ক্ষেতের ধারে এমন সব উপকারী পোকামাকড়ের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেন যেগুলো ক্ষতিকারক কীট খেয়ে ফেলে। ফলে কীটনাশকের আর প্রয়োজন পড়বে না বলে তাদের আশা। প্রফেসর ড্যোরিং বলেন, আমরা উপকারী পোকামাড়ের মাধ্যমে ক্ষতিকর কীটের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে পারি।
ক্ষেতের ধারে গবেষকেরা ফুলের সারি সৃষ্টি করেছেন। ফুলগুলো এক সাথে ফোটে না, একের পর এক বিকাশ ঘটে। ফলে পোকামাকড়ের খাদ্যের অভাব হয় না। আগাছা ধ্বংস করতে রাসায়নিক ব্যবহার করেন না তারা। এতে পোকারা ক্ষেতে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে। ক্ষেতের ধারে ফুলের মেলা, কোনো কীটনাশক নয়, সারের পরিমাণও কম এবং ফসল পরিবর্তনের মতো পদক্ষেপ বেশ সফল হচ্ছে। প্রচলিত কৃষি ক্ষেত্রের তুলনায় এখানে জীববৈচিত্র্য ৩০ শতাংশ বেশি। পরাগবহনকারী পোকার মাত্রা ৫০ শতাংশ বেশি। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা