১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে কোন্দল জামায়াত নীরবে চালাচ্ছে তৎপরতা

বাগেরহাট-৪ আসন
-

বাগেরহাট জেলার সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং সুন্দরবনসংলগ্ন শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসন। জেলার অন্যান্য এলাকা থেকে এই সংসদীয় আসনটি উন্নয়নে পিছিয়ে থাকলেও রাজনীতিতে বরাবরই এগিয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণের এ জনপদে অনেক আগে থেকেই বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা অনেকটা আগেভাগেই রাজনৈতিক মাঠ নিজেদের অনুকূলে রাখতে ব্যস্ত রয়েছেন। তবে বড় এই দল দু’টির নেতাদের মধ্যকার দীর্ঘ দিনের বিরোধ এখনো মেটেনি। দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধে বিগত ১ অক্টোবর হত্যা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী নেতাকে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে নিজস্ব স্টাইলে মাঠে তৎপর রয়েছে জামায়াত। এই আসনে ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ- জামায়াত সমানে সমান। ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে মাত্র একবারই বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী। এই আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষে পাঁচজন, বিএনপির পক্ষে চারজন ও জামায়াতের পক্ষে একজন গণসংযোগ করে যাচ্ছেন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বাগেরহাট-৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হন শেখ আবদুল আজিজ। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হন আবদুল লতিফ খান। ৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি হন ড. মিয়া আব্বাস। ৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থী মুফতি মাওলানা আবদুস সাত্তার আকন বিজয়ী হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এমপি হন বিএনপির আরশাদুজ্জামান। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হন ডা: মোজাম্মেল হোসেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবরের নির্বাচনে বিএনপি জোটের জামায়াত প্রার্থী মুফতি মাওলানা আবদুস সাত্তার আকন দ্বিতীয়বার এমপি হন। ২০০৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ থেকে আবারো এমপি নির্বাচিত হন ডা: মোজাম্মেল হোসেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা: মোজাম্মেল হোসেন দলের দুই বিদ্রোহী নেতার সাথে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সামান্য ভোটের ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হন।
এই আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ নেতা বর্তমান এমপি ডা: মোজাম্মেল হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিরুল আলম মিলন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান প্রবীররঞ্জন হালদার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক জামিল হোসাইন।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপি নেতা মো: মনিরুল হক ফরাজী।
জামায়াত থেকে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রশিবির নেতা ও বাগেরহাট কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আলিম ও জাতীয় পার্টি থেকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সভাপতি সোমনাথ দে। বিভিন্ন দলের এসব মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপর দিকে রাজনৈতিকভাবে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর মাঠপর্যায়ে কোনো তৎপরতা না থাকলেও নির্বাচনী প্রস্তুতি রয়েছে দলের নেতাদের। মাঠপর্যায়ে নিজস্ব কৌশলে তারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকেন। বিএপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক হওয়ায় জামায়াতে ইসলামী এ আসনে জোটের মনোনয়ন দাবিদার। জোটগতভাবে নির্বাচন হলে তারাই মনোনয়ন পাবেন বলে অনেকটা নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন জামায়াতের দায়িত্বশীল পর্যায়ের লোকজন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সাথে ভোটযুদ্ধে বিএনপির চেয়ে জামায়াতের রয়েছে শক্ত অবস্থান। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রম এখানে দৃশ্যমান নয়। এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী কতখানি প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন তা ভাবার বিষয়। কারণ এ আসনে বিএনপি-জামায়াতের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তেমন জোরদার নয় এমন দাবি স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে জামায়াত নেতা মাওলানা মুফতি আবদুস সাত্তার আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা শেখ আবদুল আজীজ ও ডা: মোজাম্মেল হোসেনকে পরাজিত করে দুইবার এমপি নির্বাচিত হন।
পূর্ববিরোধের জের ধরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আাওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা কৌশলে ডা: মোজাম্মেল হোসেনের বিরোধিতা করেন। বিরোধিতার পরও ভোটযুদ্ধে তিনি জয়ী হন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার শীর্ষ নেতাদের সাথে ডা: মোজাম্মেল হোসেনের দূরত্ব আরো বেড়ে যায়। মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলনের অনুসারীদের সাথে এমপি গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মাঝে মধ্যে প্রকাশ্য রূপ নেয়। পরবর্তীতে যার প্রভাব উপজেলা ও পৌর নির্বাচনে গিয়ে পড়ে। স্থানীয় নেতাদের বিভক্তির ফলে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম পৃথকভাবে পালিত হতে থাকে। কখনো কখনো তা সংঘর্ষেরপর্যায়ে পৌঁছায়। দলের অভ্যন্তরে নেতাদের মধ্যকার বিরোধ এখনো বিদ্যমান। নির্বাচনের আগে এ বিরোধ কতখানি প্রশমিত হয় তা ভাবনার বিষয়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে বিরোধের কথা স্বীকার করে এমপি ডা: মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এই এলাকায় আগে আটজন এমপি হয়েছিলেন কিন্তু এলাকার উন্নয়নে একটি রাস্তাও তারা তৈরি করেননি। মোরেলগঞ্জ শরণখোলায় আঞ্চলিক মহাসড়কসহ এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা আমার নেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমি করতে সক্ষম হয়েছি। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা প্রতিবন্ধী ভাতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নেত্রীর প্রচেষ্টায় চালু করেছিলাম যার সুফল এখনো তারা পাচ্ছে। মোরেলগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়ন ভেঙে নতুন সেলিমাবাদ থানা, পানগুছি নদীর ওপর সৌদি সরকারের অর্থায়নে ব্রিজ, বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে সিডর বিধ্বস্ত শরণখোলায় চলমান টেকসই ভেড়িবাঁধ, বেকার ভাতাসহ সুন্দরবনসংলগ্ন বগী এলাকায় ৯০ একর জমি নিয়ে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণকাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নেত্রীর ইচ্ছায় অন্তত আরেকবার এমপি হিসেবে এই অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চাই। ডাক্তার হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সারা জীবন বিনা পয়সায় এলাকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করে আসছি; দলীয় কর্মীসহ অসংখ্য মানুষ তার সাথে রয়েছে এমন দাবি করেন তিনি।
এ আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। নির্বাচন করার সব প্রস্তুতিই তার রয়েছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে দলের জন্য ও মানুষের জন্য কাজ করছি। তরুণ প্রজন্মের জন্য নিজস্ব চিন্তাভাবনা রয়েছে; দলীয় নমিনেশন পেয়ে নির্বাচিত হলে তা বাস্তবায়ন করতে কাজ করব।
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বলেন ১৫ বছর মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও ১২ বছর সভাপতি হিসেবে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। স্থানীয় সংগঠনের প্র্রতিটি নেতাকমীর সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। তাদের নিয়ে কাজ করছি। বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকারী সদস্য মনোনীত করেছেন এর জন্য কৃতজ্ঞ। এলাকার গণমানুষের জন্য কাজ করতে চাই। দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা যে চিন্তা বা ভাবনা প্রকাশ করবেন তার প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি বলে তিনি দাবি করেন।
অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন ১৯৯১ সাল থেকে এ অঞ্চলে বিএনপির কেউ এমপি হতে পারেননি। আমাদের এলাকা অত্যন্ত অবহেলিত। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ অঞ্চলের মানুষ হিসেবে আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করায় আমার কাছে এলাকাবাসীর অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।
বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, সিডর-পরবর্তী সময়ে মাতৃভাষা কলেজে সাইক্লোন শেল্টার, মসজিদ, বিদ্যালয়সহ অসংখ স্কুল-কলেজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছি। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সব কর্মসূচিতে দলীয় নেতাদের সাথে কাজ করছি। ১৯৯১ সাল থেকে মাঠপর্যায়ে দলের কর্মী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আমার নামে ১৪টি মামলা হয়েছিল। এখনো আমার নামে ঠাকুরগাঁও, বাগেরহাট ও ঢাকায় আটটি মামলা রয়েছে। মামলাসংক্রান্ত কারণে সম্প্রতি এলাকায় যেতে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তারপরও দলের নেতাকর্মীদের অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছি।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অপর নেতা বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান বলেন, ছাত্রদল থেকে ধাপে ধাপে আজ জেলা বিএনপির সহসভাপতি হয়েছি, এটা দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে হয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের পর মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় মাঠপর্যায়ে একমাত্র নেতা হিসেবে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। সুখে দুখে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতাসহ এলাকার সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে জনসেবা করছি। তাই আগামী নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে আমি শতভাগ আশাবাদী।
অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির মো: মনিরুল হক ফরাজী বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বিএনপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করছি। দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে ঢাকায় একাধিক মামলায় আসামি হয়েছি। মোরেলগঞ্জ- শরণখোলার অবহেলিত জনপদের সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমার সততা ও দলের প্রতি ত্যাগ হিসেবে তিনি এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
নাভালনির মৃত্যু : ৩০ রুশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ইইউ’র জীবাশ্ম জ্বালানির তহবিল বন্ধ করল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় নাভালনির মৃত্যু : ৩০ রুশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ইইউর সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়তে হাইকোর্টের নির্দেশ গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্যে মিসর ও সৌদি আরব যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন আমাকে অ্যাপ্রোচ করেছিল, আমি গ্রহণ করিনি : মেজর অব. হাফিজ জাতিসঙ্ঘ সংস্থার প্রধানকে গাজায় প্রবেশে বাধা ইসরাইলের মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবরে ‘শঙ্কিত’ জাতিসঙ্ঘ প্রধান ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ২৩ হলমার্ক কেলেঙ্কারি : তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন লক্ষ্মীপুরে উপড়ে ফেলা হয়েছে যুবলীগ নেতার চোখ

সকল