বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকারকে উৎখাত করতে চায় : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আজ (গতকাল) নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই হামলার মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত করেছে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা পুলিশের দু’টি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, ১৩ জন পুলিশ সদস্য মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি তাহলে নির্বাচন পেছানোর জন্য পুলিশের ওপর হামলা করে নিজেদের বীরত্ব জাহির করল! দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তারা শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে চায়, হটাতে চায়।
গতকাল বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা নির্বাচন বানচালের জন্য করা হয়েছে। কিন্তু যতই ষড়যন্ত্র হোক যথাসময়ে নির্বাচন হবে। কেউ ঠেকাতে পারবে না। কাদের বলেন, পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে, পাল্টা আক্রমণ করেনি। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য ধরতে বলেছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই নির্বাচন মানুষের প্রত্যাশার নির্বাচন। মানুষ ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচন বানচালের জন্য যতই ষড়যন্ত্র করা হোক বাংলাদেশের জনগণই তা প্রতিহত করবে। তিনি আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখন নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত। নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকে আমরা তাকিয়ে আছি। প্রকাশ্য দিবালোকে তারা যা করল, সে বিষয়ে কমিশন কী করে, তা আমরা দেখতে চাই, জানতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: দীপু মনি ও আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ।