২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ

ভোট চুরি করতেই ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন : রিজভী

-

বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে জানিয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতের নির্দেশে বিএসএমএমইউতে (পিজি) ভর্তি করে সরকারের নির্দেশে চিকিৎসা না দিয়েই আবারো কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তার কোনো চিকিৎসা চলছে না।
তিনি গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও ভোট ডাকাতি করতে ইভিএম আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, যা আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতিরই মহাপরিকল্পনা। নির্বাচনে কোনো ইভিএম ব্যবহার করা চলবে না। ভোট ডাকাতির যন্ত্র ইভিএম ব্যবহারের এই মহাপরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে। তিনি বলেন, বড় ভোটচুরির নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সরকারের কৌশলী নির্দেশেই ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে ইসি। যাতে বিদেশী পর্যবেক্ষকরা না আসেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নিয়মিত যে থেরাপি দেয়া হতো তা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। নির্দোষ বেগম জিয়াকে মাইনাস করার জন্যই কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া যতগুলো নির্বাচনে যত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সবগুলোতেই লাখ লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন, অনেকেই তা পারেননি, এ জন্যই বেগম জিয়ার প্রতি এত প্রতিহিংসা। আমি এই মুহূর্তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের ছাড়া বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, সুশীলসমাজ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও জনমতকে উপেক্ষা করে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন সিইসি। কিন্তু দু’দিন আগে নির্বাচন কমিশনার সাহাদাত হোসেন ৮০ থেকে ১০০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন, যা আরো গভীর চক্রান্ত বলেই সবাই বিশ^াস করছে।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দেয়া, গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা দায়ের করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, তল্লাশির নামে বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এখনো অবাধ-সুুষ্ঠু নির্বাচনের সামান্যতম পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে রিজভী বলেন, ঢাকা মহানগর (উত্তর) শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করার পরও তাকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করছে না। এ ঘটনায় পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমি অবিলম্বে পারভেজকে জনসমক্ষে হাজির করার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া সিলেট জেলা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ভোলা জেলা, চাঁদপুর জেলা, পাবনা জেলা, নড়াইল জেলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমি নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাদের অসত্য ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement