১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
একাদশ সংসদ নির্বাচন ২০১৮

বিএনপি-জামায়াত মামলায় নাজেহাল : মাঠ চষছে আ’লীগ

মেহেরপুর-১ আসন
-

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনে প্রার্থী হতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাত মনোনয়নপ্রত্যাশী। মোটরসাইকেল শোডাউন, মিছিল-মিটিং, উঠানবৈঠক, সালাম বিনিময়সহ ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এসব প্রার্থী। অনেক আগে থেকেই তাদের এসব কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তবে পুলিশি মামলা সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা বিএনপি-জামায়াতের। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নির্বাচনী প্রচারণা বা গণসংযোগ করতে দেখা যাচ্ছে না। পুলিশি মামলার ভয়ে তারা অনেকটাই কোণঠাসা। শুধু দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলো ঘরোয়াভাবে পালন করছেন তারা। জামায়াতের অবস্থাও একই রূপ। তারাও কোনো কর্মসূচি পালন করতে সাহস পাচ্ছেন না। এ দু’টি দলের নেতারা বলছেন, পুলিশের গায়েবি মামলায় চরম বিপদে আছেন তারা। পুলিশ গত দুই মাসে আটটি গায়েবি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ২২৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৫৮৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি বিএনপির সাবেক এমপি মাসুদ অরুণের ছোট ভাই সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকট মারুফ আহম্মেদ বিজন, মুজিবনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি জারজিস হুসাইন, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের আমির খানজাহান আলী, মেহেরপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সোহেল রানা ডলার, বিএনপির সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল আলমকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে আরো অনেকেই আটক হয়েছেন। পুলিশের দায়ের করা মামলাগুলোর সবই নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনের বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্রগুলো।
মেহেরপুর সদর উপজেলার একটি পৌরসভা আর পাঁচটি ইউনিয়ন এবং মুজিবনগর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে মেহেরপুর-১ আসন। এ আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ২৩ হাজার ৪২৩ জন।
ভোটারদের আলোচনা ও প্রার্থীদের গণসংযোগ থেকে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেনÑ বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল, সাবেক এমপি প্রফেসর আবদুল মান্নান, সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো: জয়নাল আবেদীন, মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড পেট্রো বাংলার পরিচালক এম এ এস ইমন। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ এবং কেদ্রীয় শিক্ষক নেতা পিস অ্যাম্বাসেডর জাকির হোসেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির (এরশাদ) একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল হামিদ।
বিগত সময়ের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তথ্য থেকে এবং দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মেহেরপুর-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মধ্যে। এখানে এ দু’টি দলেই রয়েছে বিভক্তি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল। বর্তমান দুরবস্থার মধ্যে বিএনপির দলীয় কোন্দল অনেকটা কমে এসেছে। নিজস্ব চিন্তাভাবনা এবং তাদের পর্যবেক্ষণ থেকে এ প্রতিনিধির কাছে ওই সব নেতাকর্মী ও ভোটাররা বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমে এলেও তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার কিছু নেই। এ আসনে বরাবরই বিএনপির প্রাধান্যটা বেশি থাকলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগ পিছিয়ে থাকার অবস্থান থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ আর বিএনপি সমর্থিত ভোটারের সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য খুব কম বেশি নয়। বিএনপির শরিক দল জামায়াতের নেতৃবৃন্দের সাথে বিএনপির কর্ণধার হিসেবে পরিচিত সাবেক এমপি মাসুদ অরুণের সম্পর্ক বেশটাই প্রশ্নবিদ্ধ। শুধু তাই-ই নয়, তার অবর্তমানে বিএনপির হাল ধরার মতো যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামে জামায়াতের সাথে বিএনপির অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। ধরি মাছ না ছুঁই পানিÑ অনেকটা এমন অবস্থা। এ দিকে বিএনপির দলীয় কর্মসূচিগুলোও মাসুদ অরুণ তার লোকজন নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বসে অথবা কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে সমঝোতা করে পালন করেন। এমন অভিযোগ অনেকের। বর্তমান সময়ে শরিক দল জামায়াতের ভোট ছাড়া বিএনপি প্রার্থীর বিজয়ী হওয়া বেশ কঠিন। আবার আওয়ামী লীগের মধ্যে যে কোন্দল বিরাজ করছে তা মেটাতে না পারলে তাদের প্রার্থীর জয়লাভ করাও কঠিন হয়ে পড়বে। আওয়ামী লীগ বর্তমানে ত্রিধারায় বিভক্ত বলেও জানান তারা।
২০০৮ সালের নির্বাচনে সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এবং জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ছমির উদ্দিন দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। সে নির্বাচনে মাসুদ অরুণ ভোট পান ৬০ হাজার আর ছমির উদ্দিন ভোট পেয়েছিলেন ৩১ হাজার। বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগের জয়নাল আবেদীন পেয়েছিলেন এক লাখ সাত হাজার ভোট। তবে সেই সময় বিএনপির একটি অংশের কিছু ভোট জামায়াতের বাক্সে গিয়েছিল বলেও প্রচার রয়েছে।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে আরেক মনোনয়ন প্রার্থী রয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষক নেতা আন্তর্জাতিক সংস্থার (এইচডব্লিউপিএল) পিস অ্যাম্বাসেডর জাকির হোসেন। বিএনপির একটি অংশ তাকে সমর্থন জানাচ্ছেন। তাদের দৃষ্টিতে তিনি নেতৃত্ব দানে একজন যোগ্য ব্যক্তি। এরই মধ্যে তিনি গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছেন। জাকির হোসেন জানান, মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বেশ আশাবাদী। মনোনয়ন না পেলেও তিনি দলের বিপক্ষে থাকবেন না। বরং দলকে এগিয়ে নিতে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন।
মাসুদ অরুণ বলেন, বর্তমানে মেহেরপুরে বিএনপির মধ্যে দলীয় বিভক্তি আছে বলে তিনি মনে করেন না; যে ক’জন নেতাকর্মী বিগত সময়ে পৃথক হয়েছিলেন তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে আবার ফিরে এসেছেন এবং একসাথে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে বিএনপি বিজয় লাভ করবে এবং বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচনে হারানো আসনটি ফিরে আসবে। মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা গায়েবি মামলায় তার দলের নেতাকর্মীদের অনেকেই কারাগারে। যারা বাইরে আছেন তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। রাতে বাড়ির বিছানায় ঘুমাতে পারছেন না। কাজেই মাঠপর্যায়ে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। গত দুই মাসে পুলিশ আটটি গায়েবি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় ২২৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ আরো ৫৮৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এখন প্রায় রাতে অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে নিরীহ মানুষকে ধরে এনে নাশকতা আর বিস্ফোরক আইনের ওই সব মামলার আসামি দেখিয়ে কোর্টে চালান করা হচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মেহেরপুর জেলাকে নেতৃত্বশূন্য করে একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে।
তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সহিংস আন্দোলনে তিনি বিশ্বাসী নন। তাই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেন তিনি। তা ছাড়া পুলিশি বাধায় কেন্দ্র ঘোষিত দলীয় কর্মসূচিগুলোও তিনি ঘরোয়াভাবে পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন। শরিক দল জামায়াতের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে বলেও তিনি জানান।
জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজ উদ্দিন বলেন, পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় প্রতিনিয়ত কোর্টে হাজিরা দিতে আর পালিয়ে বেড়াতে তাদের নেতাকর্মীদের নাজেহাল অবস্থা। রাতে কেউ বাড়িতে ঘুমাতে পারে না। তার নিজের নামেও পাঁচটি মামলা হয়েছে। তার পরও সাংগঠনিক দিক থেকে তারা এখনো মজবুত অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখানে আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো কর্মসূচিতে বিএনপিকে সাথে পাওয়া যায় না। স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে জামায়াতের শতভাগ প্রচার-প্রচারণা ও ভোট কামনা করলেও জামায়াতের প্রার্থীর ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা উল্টো। জামায়াতের দু-একজন নেতার সাথে মাসুদ অরুণের সম্পর্ক ভালো। তবে সার্বিকভাবে শরিক দল হিসেবে জামায়াতের সাথে তার সম্পর্ক সন্তোষজনক নয়। বর্তমান সময়ে জামায়াতের ভোট ছাড়া বিএনপির প্রার্থীর বিজয়ী হওয়া অনেকটা অসম্ভব ব্যাপার বলেও তিনি জানান।
এ আসনে দীর্ঘ দিন থেকেই আওয়ামী লীগের মধ্যে রয়েছে বিভক্তি। বিভক্তির কারণে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও বেশ মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। নির্বাচন সামনে এলেই এ বিভক্তি নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা। বর্তমানে এক দিকে নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। অন্য দিকে কিছু নেতাকর্মী নিয়ে মাঠে রয়েছেন সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, নিজস্ব কিছু কর্মী বাহিনী নিয়ে গণসংযোগ করছেন সাবেক এমপি প্রফেসর আবদুল মান্নান, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও দলটির সাবেক জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী প্রায়ই তার সমর্থিত লোকবল নিয়ে শোডাউন করছেন, আলাদা প্রচারণা চালাচ্ছেন অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম ও এ এম এস ইমন স্থলবন্দরের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি প্রায়ই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রত্যেক মনোনয়নপ্রত্যাশীর কর্মী-সমর্থকেরা তাদের পছন্দের নেতার ছবিসহ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে পোস্টারিং এবং স্থানীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকাসহ ফেসবুকে ছবি ও সংবাদ ছাপানোর মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠ গরম করে রেখেছেন।
বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে মেহেরপুর জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সরকারের প্রথম পাঁচ বছরে উন্নয়ন তেমন না হলেও গত চার বছর ১০ মাসে মেহেরপুরে যে উন্নয়নকাজ হয়েছে, তা জনগণের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। রাস্তা নির্মাণ, ৫০টি স্কুল-কলেজের নতুন অবকাঠামো নির্মাণ, পিটিআই ভবন, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, ভৈরব নদী খননসহ আরো অনেক উন্নয়নকাজ হয়েছে। এক কথায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে। মুজিবনগর কমপ্লেক্সের উন্নয়নসহ আরো অনেক প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করা হলে মেহেরপুর এগিয়ে যাবে অনেক দূর। নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে সরকারের উন্নয়নকাজের প্রচার করতে গত ৫ নভেম্বর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। সে সময় এসব উন্নয়নের কথা বলার পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মেহেরপুরে কোনো বেকার নেই। এখন ভৈরব নদীতে মাছ শিকার করলেই একজন মানুষ ৫০০ টাকা আয় করতে পারছেন। নদী খননের কারণে এখন আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে। এখানে কোনো টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নেই। মেহেরপুরের মানুষ শান্তিতে রয়েছে। তিনি বলেন, বৃহত্তর দল হিসেবে দলের মধ্যে কিছুটা বিভক্তি থাকতেই পারে। তবে দল থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলে সবাই দলের পক্ষেই কাজ করবে।
তবে বিগত সময়ের উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সময় দলীয় নেতাকর্মীদের ভূমিকা পর্যালোচনা করে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে দলীয় কোন্দল বেশ প্রকট। শুধু মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনের সময় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনের পক্ষে বেশির ভাগ নেতা একসাথে মাঠে নেমে ভোটারদের কাছে গেছেন। এমনটি অন্য কোনো নির্বাচনের সময় দেখা যায়নি। তবে দলকে এগিয়ে নিতে অঙ্গসংগঠন হিসেবে জেলা যুবলীগ ভালো ভূমিকা রাখছে। তারা দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে এবং ভোটারদের সংগঠিত করতে কাজ করছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায় যে, ১৯৭৯ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আহম্মদ আলী এবং ২০০১ সালে নির্বাচিত হন আহম্মদ আলীর বড় ছেলে বিএনপি নেতা মাসুদ অরুণ। তিনি ছাত্রাবস্থায় ছাত্রমৈত্রীর রাজনীতি করতেন। পরে বাবার হাত ধরে বিএনপিতে প্রবেশ করেন। এ ছাড়া ১৯৭১, ১৯৭৩ (বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম পূর্ববর্তী) ও ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন, ১৯৯১ ও ১৯৯৯ (সপ্তম সংসদের উপনির্বাচন) সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রফেসর আবদুল মান্নান, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (বিরোধীদল বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই) আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সাবেক এমপি মরহুম মোহাম্মদ ছহিউদ্দিনের ছেলে ঢাকা সিটি কলেজের অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন নির্বাচিত হন। আবার ১৯৮৮ সালে বিরোধী দল (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) ছাড়াই জাতীয় পার্টির (জাপা) নির্বাচনে রমজান আলী এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

সকল