২২ দিন পর আমীর খসরু কারামুক্ত
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
২২ দিন কারাভোগের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে হওয়া মামলায় জামিনে মুক্তি পান এই বিএনপি নেতা।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক নয়া দিগন্তকে জানান, গত সোমবার সকাল পৌনে ৭টায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। গত ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।
জেল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘মানুষের অংশগ্রহণের কথাকে চিন্তা করে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। দেশের মানুষ কিভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে, সেটা দেখার বিষয়। দেশের মানুষ কি আদৌ এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে নাকি তাদের বাইরে রেখে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া চলবে? সেদিকে তো দেশ চলছে এখন। তো দেখা যাক।’
মুক্তির পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথমে নগরীর দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় নিজ বাড়িতে যান। সেখানে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে তিনি নগরীর মেহেদিবাগের বাসায় ফেরেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নওমী নামে একজনের সাথে আমীর খসরুর কথিত ‘ফোনালাপ’ ফাঁস হয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ৪ আগস্ট বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। মামলায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আমীর খসরু ছয় সপ্তাহের জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষে ৭ অক্টোবর তিনি চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন। সেদিন শুনানি শেষে বিচারক আকবর হোসেন মৃধা ২১ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিনের মেয়াদ বর্ধিত করেন। মেয়াদ শেষে ২১ অক্টোবর নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিনের আবেদন জানান। এ সময় আমীর খসরুর জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা