২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সেমিনারে নগরবিদেরা

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে

-

‘টেকসই নগর ও জনবসতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু মানুষের কথা মাথায় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। অন্যথায় সেটা টেকসই পরিকল্পনা হওয়া সম্ভব নয়। যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। একটি টেকসই শহরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বসবাসযোগ্যতা, সুষ্ঠু কার্যকারিতা, স্থিতিস্থাপকতা, সুশাসন এবং সর্বোপরি এর অর্থনৈতিক উন্নয়ন। সবার জন্য আবাসনব্যবস্থা, খেলাধুলা এবং বিনোদনের জন্য পর্যাপ্ত উন্মুক্ত জায়গার ব্যবস্থা, নিরাপদ গণপরিবহনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিআইপির উদ্যোগে ও ব্র্যাক-আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম, ইস্টার্ন হাউজিং এবং শেলটেক প্রা: লি:-এর সহায়তায় তিন দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ ‘বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস’-এর তৃতীয় দিনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
পরে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্ল্যানিং কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. এ কে এম আবুল কালামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেনÑ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: শহীদ উল্লাহ খন্দকার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো: হেলাল উদ্দিন এবং ব্র্যাক-আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান হাসিনা মোশরফ।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেনÑ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সহসভাপতি-২ পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান। এ ছাড়া প্ল্যানিং কমিশনের সিনিয়র পরিকল্পনাবিদ ড. তৈবুর রহমান ‘টেকসই শহরের জন্য টেকসই জ্বালানি সমাধান’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া অধ্যাপক ড. শামসুল আলম ‘বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান ফরমুলেশন ২১০০’-এর ওপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. শামসুল আলম তার ব-দ্বীপ পরিকল্পনার উপস্থাপনায় কয়েকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ প্রাকৃতিক ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত না করে উন্নত করা, জলবায়ুকেন্দ্রিক প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনাভিত্তিক পরিকল্পনা, দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ামকের পরিবর্তন মাথায় রাখা। প্রতি পাঁচ বছর পর পরিকল্পনা হালনাগাদ করা। তিনি তার প্রস্তাবনায় সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার ধারণা দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে দরিদ্রতাশূন্য দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে। এ ছাড়া তিনি স্বাদু পানির অপ্রাপ্যতা, জলাবদ্ধতা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বরেন্দ্র অঞ্চলের নদীগুলোর পুনরুদ্ধার, টেকসই ভূমি ব্যবহার ও স্থানিক পরিকল্পনা, সহজলভ্য নৌপরিবহনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
রংপুরে মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি, অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে : ধর্মমন্ত্রী সিলেটে ৪৪ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ৪ অবৈধ সম্পদ : এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ জুন টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে চাপম্যান-আফ্রিদির উন্নতি থানচিতে ট্রাকে দুর্বৃত্তদের গুলি চীনের আনহুই প্রদেশের সাথে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই আ’লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ : ২ শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণ, আহত ৫ রাঙ্গামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬, আহত ৮ প্রতিবাদ সমাবেশকারীদের গ্রেফতারের নিন্দা জামায়াতের

সকল