২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আপিলে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন তারেক রহমান : মওদুদ

মহিলা দলের মানববন্ধনে বক্তৃতা করছেন মওদুদ আহমদ : নয়া দিগন্ত -

বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে তার সাত দিনের মধ্যেই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার প্রণীত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ ও ‘সম্প্রচার নীতিমালা’ বাতিল করবে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এ ছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করে আপিল করবেন এবং জামিন নেবেন। আপিলে তারেক রহমানকে অবশ্যই নির্দোষ বলে খালাস দেয়া হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। গতকাল এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়। সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় মানববন্ধনে মহিলা দলের নূরজাহান ইয়াসমিন, জেবা খান, রাজিয়া আলীম, পেয়ারা মোস্তফা, শামসুন্নাহার, আমেনা খাতুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ ও ‘সম্প্রচার নীতিমালা’ এই দুই আইনের ফলে আমাদের সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম আর স্বাধীনভাবে সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না। কারণ হাত-পা বেঁধে দেয়া হয়েছে, এখন মুখও বেঁধে দেয়া হয়েছে। বাক স্বাধীনতা বলতে যা বুঝায় আমাদের সংবিধানে যে মৌলিক অধিকার সেটি আজকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। আগামীতে আমরা ক্ষমতায় গেলে এই দু’টি আইন সাত দিনের মধ্যে বাতিল করব।
২১ আগস্টের গ্রেনেড মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, তারেক রহমান যেদিন ফিরে আসবেন আত্মসমর্পণ করে তিনি আপিল করবেন এবং জামিন নেবেন। তিনি আদালতে এটি প্রমাণ করবেন যে, তার বিরুদ্ধে যে রায় হয়েছে সেটি অচল রায়। এই রায় কার্যকর হবে না। সেই আপিলে তারেক রহমান অবশ্যই সফল হবেন এবং হাইকোর্ট থেকে বিচারে তাকে নির্দোষ বলে খালাস দেয়া হবে এই বিশ্বাস আমরা রাখি।
মওদুদ আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলার মূল বিষয়টাকে সরিয়ে দিয়ে শুধু রাজনৈতিক কারণে এই মামলার রায়কে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে সরকার। তারেক রহমান এই ঘটনার সাথে বিন্দুমাত্র জড়িত ছিলেন না। তিনি বলেন, যখন বিএনপি সরকারের সময়ে এই ঘটনা ঘটে আমরা তখন তদন্তের জন্য এফবিআই ও ইন্টারপোলকে এনেছিলাম ঢাকায়। তারা তদন্ত করেছেন এবং সেই তদন্তে কখনো তারেক রহমানের নাম আসেনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে তারেক রহমানের নাম জড়িয়ে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। মুফতি হান্নানকে রিমান্ডে নির্যাতন করে যে জবানবন্দী আদায় করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ বেআইনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সাজা দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি এই রায় ফরমায়েসি। এই রায় দেশের মানুষ মানেনি।
জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশে গ্রাম-গঞ্জে জাতীয় ঐক্যফন্টের ডাক পৌঁছে গেছে। মানুষ ঐক্যের মাধ্যমে এই সরকারের পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর। সব দল-মতকে নিয়ে এটি একটি জাতীয় ঐক্য এবং এর মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন আনা হবে। এই ঐক্যের আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করব। সেই নির্বাচনে যারা জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি তারা জয়লাভ করবেন, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং জনগণের সরকার গঠন হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য?

সকল