ঐক্যফ্রন্টকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই : কাদের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে তারা প্রথমেই বিদেশীদের কাছে গিয়েছে, দেশের জনগণের কাছে তো যায়নি। জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। ফলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে আমাদের ভয় পাওয়া বা বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। গত দশ বছরে যারা আন্দোলন করতে পারেনি, তারা এক মাসেও তা পারবে না। শুরুর আগেই তাদের দুই উইকেট পড়ে গেছে। আসন ভাগাভাগির সময় এলে আরো কত উইকেট পড়বে তা সময় বলে দেবে!
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী আর দুই সপ্তাহ সময় রয়েছে। নির্বাচনের আগে সংলাপ অনুষ্ঠানের যেমন সময়ও নেই, তেমনি সংলাপ অনুষ্ঠানের বাস্তব কোনো কারণও নেই। ফলে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা নেই। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির অ্যালায়েন্স। তাই আওয়ামী লীগ নীতিগতভাবে তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপে যেতে রাজি নয়।
বিএনপি ভাঙতে পারে কি না সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দল ভাঙনের নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। ভাঙনের প্রক্রিয়ায় আমাদের অংশ নেয়ার কিছু নেই। অন্য দল যদি ভাঙে তাহলে নিজেরাই নিজেদের কারণে ভাঙবে।
নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের শঙ্কা প্রকাশ ও সম্মিলিত জোট থেকে বের হওয়ার ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, এরশাদ সাহেব তো পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে বক্তব্য রাখতেই পারেন। উনি তো সংসদে বিরোধী দলে আছেন, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে যেকোনো বক্তব্য উনি দিতেই পারেন। উনি তো আর ওনার পার্টিকে আওয়ামী লীগে দিয়ে দেননি। এরশাদ সাহেব আমাদের সাথে জোটগতভাবে নির্বাচন করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।
জাতীয় ঐক্যের নেতাদের সিলেটে মাজার জিয়ারত প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিলেটে মাজার জিয়ারত করতে তারা যেতে পারে। নির্বাচনের আগে সিলেটে মাজার জিয়ারত করার একটা ট্র্যাডিশন রয়েছে। কিন্তু মাজার জিয়ারতের নামে যদি কোনো নাশকতা, কোনো সহিংসতার পরিকল্পনা নিয়ে তারা সেখানে যান তা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিই নির্ধারণ করে দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে।
এ সময় নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা