২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নওগাঁ-১ আসন

আওয়ামী লীগের একক বিএনপিতে একাধিক

ভোটারদের চাওয়া শিক্ষিত, তরুণ ও নতুন মুখ
-

নওগাঁ-১ আসনে বইছে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠে ব্যাপক শোডাউন, গণসংযোগ, মতবিনিময়, সভা-সমাবেশসহ প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। ব্যানার, বিল বোর্ড ও ফেস্টুনে ভরে গেছে নির্বাচনী এলাকা। এ আসনটি আওয়ামী লীগ ধরে রাখতে ও বিএনপি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শক্ত অবস্থানে ও বিএনপি হযবরল অবস্থায় রয়েছে তবে ভোটারদের দাবিÑ তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল নির্বিশেষে শিক্ষিত, তরুণ ও নতুন মুখকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।
নওগাঁর পশ্চিমে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা বরেন্দ্র অঞ্চলজুড়ে অবস্থিত পোরশা, সাপাহার ও নিয়ামতপুর উপজেলা। এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-১ আসন। জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা আসন নং-৪৬। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ৫২ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯২৭ জন।
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে যায় নবম সংসদ নির্বাচনে। পরপর দু’বার বিএনপি ক্ষমতায় না থাকায় বর্তমানে পাল্টে গেছে এই আসনের ভোটের হিসাব-নিকাশ। বর্তমান সরকারের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার যোগাযোগ ক্ষেত্রে বেশ উন্নয়ন করেছেন। আধুনিক মানসম্মত যোগাযোগব্যবস্থা এই অঞ্চলের প্রধান দৃশ্যমান উন্নয়ন, যা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে ছিল স্বপ্ন।
বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছেন প্রায় ৯৫ ভাগ। সড়কের উন্নয়ন হওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থাও হয়েছে আগের তুলনায় অনেক সহজতর। নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বর্তমানে আ’লীগের অবস্থান খুবই শক্তিশালী। অপর দিকে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতা বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার বিপুুল ভোটের মাধ্যমে তিনবারের নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্য ডা: ছালেক চৌধুরীকে পরাজিত করেন। এরপর দশম সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার আবারো জয়লাভ করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে এখনো পর্যন্ত নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদারের একক নাম শোনা যাচ্ছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের আর কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশী না থাকায় বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার বেশ শক্তিশালী ও সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। তিনি ব্যাপক গণসংযোগ করছেন।
বিএনপি থেকে দলটির নিয়ামতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ডা: ছালেক চৌধুরী, বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ আহম্মদ মোজাম্মেল চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য ও নিয়ামতপুর উপজেলার চারবারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, সাপাহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি অবসরপ্রাপÍ অধ্যক্ষ আব্দুন নূর, পোরশা উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা মনোনয়ন চাইবেন।
১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্য ডা: ছালেক চৌধুরী। তার সময়ে তিনি এই এলাকায় যোগাযোগ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেশ অবদান রেখেছিলেন। বর্তমানে এই তিন উপজেলায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পরিস্থিতি অবলোকন করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতা শাহ আহম্মদ মোজাম্মেল চৌধুরী বেশ কিছুদিন থেকে এলাকায় গণসংযোগ করতে দেখা যাচ্ছে। তার বাড়ি পোরশা উপজেলায়। তিনি রাজশাহীতে বসবাস করেন। তরুণ এ বিএনপি নেতা শাহ আহম্মদ মোজাম্মেল চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে তিনি এগিয়ে আসেন। তিনি আগামী নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। এ লক্ষ্যে তিনি এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। তিন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের হাটবাজার, এলাকা এলাকায় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাদের সাথে মতবিনিময় করছেন। তিনি দলীয় প্রতিটি কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি হাইকমান্ডের সাথে লবিং-গ্রুপিংয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ এলাকার মানুষ বিশেষ করে তরুণ ভোটারেরা তরুণ, শিক্ষিত নতুন মুখ চায়। তাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাসেবক শাহ আহম্মদ মোজাম্মেল চৌধুরী অতি অল্প দিনে মানুষের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানও মনোনয়ন পাওয়ার আশায় নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগের পাশাপাশি দলীয় হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী পোরশা উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বয়সে বেশ তরুণ। দলীয় কর্মকাণ্ডের চেয়ে প্রচার-প্রচারণায় বেশ এগিয়ে আছেন তিনি। পোরশা উপজেলার বাইরে নিয়ামতপুর ও সাপাহার উপজেলার নেতাকর্মীদের সাথে তেমন সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেননি বলেই জানা গেছে। অন্য দিকে জাতীয় পার্টির আকবর আলী কালু মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির ভোট পাওয়ার চেয়ে ১৪ দলের সাথে দরকষাকষিই বড় কথা।
এ ছাড়াও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন ইসলামী আন্দোলনের (ইসা) পোরশা উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান।


আরো সংবাদ



premium cement
জামালপুরে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার অবৈধ গাড়ি কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগে বিভেদ শরীয়তপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভুট্টার আবাদ মিরসরাইয়ে ৩ দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি আলুতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা ফরিদপুরের পদ্মাপাড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ২৩ এস্কেভেটর ও ৮ ট্রাক ফেলে পালালো বালুদস্যুরা বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা গলাচিপায় নির্বাচনী মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীবকে শোকজ হোসেনপুরে গ্রামের গ্রাহকরা দিনে এক ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না ঈদগাঁওতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ৭ প্রার্থীকে জরিমানা গাজীপুরে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন

সকল