২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

যশোর ও বান্দরবানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত

-

যশোর ও বান্দরবানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহতদের একজন ডাকাত ও অপর জন মাদক বিক্রেতা। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
যশোর অফিস জানায়, যশোর শহরতলীর শংকরপুর বাবলাতলা হ্যাচারি এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধ’ শহিদুল ইসলাম তপন (৪৫) ওরফে ট্যারা তপন নামে একজন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি, দুই দল মাদক কারবারি মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ওই মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। নিহত তপন পাশের রায়পাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, গত শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। নিহতের লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, তপনের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় মাদকের মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
বান্দরবান সংবাদদাতা জানান, পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড বান্দরবানের বাইশারীর মো: আনোয়ার হোসেন প্রকাশ আনোয়ার বলী পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার ভোরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের থুইলাঅং পাড়ার কাছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। লাশের পাশ থেকে দু’টি দেশীয় অস্ত্র, ছয় রাউন্ড গুলি ও মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। বন্দুকযুদ্ধে আহত হয়েছে দুই পুলিশ সদস্য। তারা হলেন কনস্টেবল জ্যোর্তিময় চাকমা ও মো: সুলতান। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানান নিহত আনোয়ার বলী বাইশারীর ডাকাত সর্দার আনাইয়্যা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিল। শনিবার ভোরে পুলিশের একটি টহল দলের ওপর ডাকাত বাহিনী গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। সেখানে গুলিতে ডাকাত আনোয়ার বলী নিহত হন। সকালে লোকজন ডাকাত আনোয়ার বলীর লাশ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। বাইশারী, রামু, ঈদগড় এলাকার ত্রাস ছিল এই ডাকাত আনোয়ার বলী। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: আলমগীর শেখ জানান লাশের পাশে পড়ে থাকা একটি দেশীয় পিস্তল একটি একনলা বন্দুক, ছয় রাউন্ড গুলি ও একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। বাইশারীর ইউপি চেয়ারম্যান মো: আলম জানান এলাকার আতঙ্ক ছিল ডাকাত আনোয়ার বলী। সে ডাকাত বাহিনী আনোয়ার গ্রুপের প্রকাশ আনাইয়্যা বাহিনীর অন্যতম সর্দার ছিল। কক্সবাজারের চকরিয়ার ঈদগড়, রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীর এলাকার ত্রাস ছিল এই আনোয়ার বলী। অপহরণ করে নির্যাতন মুক্তিপণ আদায় হত্যা গুমসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল আনোয়ার বলী। সে নিহত হওয়ার খবরে এলাকায় লোকজনদের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি। এ দিকে ডাকাত আনোয়ার বলী নিহত হলেও ডাকাত সর্দার আনাইয়্যার এখনো কোনো খোঁজ নেই। স্থানীয়রা জানান, গত এক সাপ্তাহ আগে কক্সবাজারের র্যাব-৭-এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ডাকাত সর্দার আনাইয়্যাসহ তিনজনকে আটক করে। কিন্তু কোনো পক্ষ থেকে এ বিষয়ে স্বীকার করা হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement
সীমান্তে বাংলাদেশীদের মৃত্যু কমেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনে উদ্বেগ টিআইবির যখন দলকে আর সহযোগিতা করতে পারবো না তখন অবসরে যাবো : মেসি ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের আটকের পর নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ইউপি চেয়ারম্যানকে বদর যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন পণবন্দী জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝালকাঠিতে নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে মিলল ভ্যানচালকের লাশ বাল্টিমোর সেতু ভেঙে নদীতে পড়া ট্রাক থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার

সকল