২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন

উগ্রবাদী হামলার ঝুঁকি রয়ে গেছে বাংলাদেশে

-

সন্ত্রাসবাদবিষয়ক কান্ট্রি রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট (পররাষ্ট্র দফতর) বলেছে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অনেক কিছু করলেও দেশটিতে উগ্রবাদী হামলার ঝুঁকি রয়েই গেছে। গত বুধবার এ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে বাংলাদেশ তিনটি সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের শিকার হয়েছে। এর পর থেকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী উগ্রবাদী সংগঠনের এক ডজনেরও বেশি চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের ভূমিকে সন্ত্রাসবাদের ‘নিরাপদ স্বর্গ’ হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলে আসছে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশে সংঘটিত প্রায় ৪০টি সন্ত্রাসবাদী আক্রমণকে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের কাজ বলে বাংলাদেশ সরকার দাবি করলেও ভারতীয় উপমহাদেশে আলকায়েদা (একিউআইএস) ও আইসিস সম্মিলিতভাবে এসব সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব স্বীকার করেছে। মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো তাদের আদর্শ প্রচার করতে এবং তাদের অনুসারীদের কাছে আবেদন পৌঁছাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করছে। আইসিস ও একিউআইএসের বিভিন্ন প্রকাশনা, ভিডিও ও ওয়েবসাইটে বাংলাদেশী উগ্রবাদীদের কর্মকাণ্ড প্রকাশ করা হয়েছে।
আইসিস ২০১৭ সালে তিনটি উগ্রবাদী হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। ১৭ মার্চ র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে সুইসাইড ভেস্ট পরে হামলা করে হামলাকারী নিজে নিহত হয় এবং দুই র‌্যাব অফিসারকে আহত করে। ২৪ মার্চ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে পুলিশ চেক পয়েন্টে পরিচয়হীন একজন পুরুষ বোমা হামলা চালিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। ২৫ মার্চ সিলেটে আইসিসের একটি সন্দেহভাজন বাড়িতে অভিযান চলাকালে বোমা হামলায় আটজন নিহত হয় এবং ৪০ জন আহত হয়।
মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনটি পুরোদমে প্রয়োগ করছে দেশটির ফৌজদারি বিচার বিভাগ। যদিও বিদেশী যোদ্ধাদের বিচারে দেশটিতে পর্যাপ্ত আইন নেই। তবে এমন অপরাধীদের গ্রেফতার করে প্রচলিত অন্য আইনে বিচার করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত ও বন্দর নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করছে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ রয়েছে যদিও বিমান নিরাপত্তা মানদণ্ড কার্যকরে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংগঠন এই বিমানবন্দরকে ৭৭.৪৬ শতাংশে রেটিং করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইন্টারপোলকে তথ্য দিচ্ছে। কিন্তু আলাদা করে উগ্রবাদীদের নজরদারি তালিকার ক্ষেত্রে নয়। বাংলাদেশের আগাম যাত্রী তথ্য পদ্ধতিও নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে র‌্যাব, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অভিযানে অনেক সন্দেহভাজন নিহত হয়েছে যদিও এ অভিযানকে পুলিশের বিচারবহির্ভূত ‘ক্রসফায়ার’ নামে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের কিছু অভিযান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাজানো নাটক বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত করানোর ষড়যন্ত্রে গত নভেম্বরে বাংলাদেশ বিমানের একজন পাইলটকে আটক করা হয়। এর আগের সেপ্টেম্বরে ওই সন্দেহভাজনের পিতা নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে গোলাগুলিতে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পুরো ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করে যে তারা এক ডজনেরও বেশি উগ্রবাদী পরিকল্পনা বানচাল করে দিয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল