২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

জাজিরা ও নড়িয়ায় নদী ভাঙন রোধে ১০৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প

৪৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আশকোনায় র‌্যাবের হেডকোয়ার্টার্স হচ্ছে
-

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় নদী ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ১ হাজার ৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিডেট। শিগগির এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন ‘শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৮ দশমিক ৯ কিলোমিটার নদীতীর সংরণ কাজ, ৯ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ড্রেজিং, ০.০৮৯ কিলোমিটার ইন্ড টার্মিনেশন এবং ৮টি আরসিসি পাকা ঘাট নির্মাণকাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়ন করবে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড।
উল্লেখ্য, কিছু দিন যাবত শরীয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নদীভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। শরীয়তপুরে এখনো অব্যাহত রয়েছে পদ্মার ভাঙন। গত দেড় বছরে পদ্মার ভাঙনে সেখানে নিঃস্ব হয়েছে পাঁচ হাজার ৮১টি পরিবার। ঝুঁকিতে রয়েছে আরো আট হাজার পরিবার। ভাঙনে নড়িয়ার কেদারপুর, মোক্তারের চর ইউনিয়ন ও নড়িয়া পৌরসভার তি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সেখানে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে হাসপাতাল, স্কুলসহ অনেক অবকাঠামো। এছাড়া উত্তরাঞ্চলেরও বেশ কয়েকটি এলাকায় নদীভাঙনে বহু পরিবার তিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
৪৩৭ কোটি ব্যয়ে আশকোনায় হচ্ছে র‌্যাবের হেডকোর্য়ার্টার : ঢাকার উত্তরার আশকোনায় নির্মাণ হচ্ছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হেডকোয়ার্টার্স। এ জন্য ব্যয় হবে ৪৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ কমপ্লেক্সটি যৌথভাবে নির্মাণের কাজ পেয়েছে জিকেবিপিএল এবং এমএসসিএল লিমিডেট। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাাধীন ‘র‌্যাব ফোর্সেস সদর দফতর নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ‘কনস্ট্রাকশন অব র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্স কমপ্লেক্স অ্যাট আশকোনা উত্তরা ঢাকা’ শীর্ষক কাজের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ৪৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কমপ্লেক্স জয়েনভেঞ্জারে নির্মাণের কাজ পেয়েছে জিকেবিপিএল অ্যান্ড এমএসসিএল লিমিডেট।
বৈঠকে রাজস্ব বোর্ড ভবন নির্মাণের একটি সংশোধিত প্রস্তাবেরও অনুমোদন দেয়া হয়। এটি হচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন সংস্থা জতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘জাতীয় রাজস্ব ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘কনস্ট্রাকশন অব ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ বিল্ডিং’ শীর্ষক কাজের ক্রয় প্রস্তাব। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জিকেবিপিএল এবং পায়েল কনস্ট্র্রাকশন লিমিডেট।
এছাড়া বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘এক্সপানশন অব ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়ান্স অ্যান্ড হসপিটাল’ শীর্ষক কাজের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়নে জয়েনভেঞ্জারে কাজ পেয়েছে জিকেবিপিএল অ্যান্ড এমএসসিএল লিমিডেট।
৫৪৪ কোটি ব্যয়ে পৌনে ২ লাখ টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত : ৫৪৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার টন ইউরিয়া ও ডিএপি সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার টন ইউরিয়া সার সরবরাহের কাজ পেয়েছে মেসার্স প্রোটন ট্রেডার্স লিমিটেড। বাকি ২৫ হাজার টন ডিএপি সার জি টু জি (সরকার টু সরকার) ভিত্তিতে আমদানি করা হবে। এ সংক্রান্ত তিনটি ক্রয়ের প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
জানা গেছে, কোটেশন ইনকুয়েরির বিপরীতে ৭৫ হাজার টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানির প্রস্তাবের অনুমোদন দেয় কমিটি। ২২৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সার সরবরাহ করবে মেসার্স প্রোটন ট্রেডার্স লিমিটেড।
অতিরিক্ত সচিব জানান, ৭৫ হাজার টন ব্যাগড গ্রিলঢ ইউরিয়া সার মংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানির অন্য একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি। ২২৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সারও সরবরাহ করবে মেসার্স প্রোটন ট্রেডার্স লিমিটেড। এছাড়া রাষ্ট্রীয়পর্যায়ে ওসিপি, মরক্কো ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বারিত চুক্তির অধীন প্রথম লটের ২৫ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২৫ হাজার টন সার আমদানিতে সরকারের ব্যয় হবে ৯৩ কোটি ২২ লাখ টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল