২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কিডনি সপ্তাহ উপলক্ষে সেমিনার

শুধু লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে ৬০ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব

-

কিডনি সপ্তাহ উপলক্ষে এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শুধু লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। কিডনি সপ্তাহ পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কিডনি রোগের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে দেশব্যাপী মানুষকে সচেতন করা ও কিডনি বিকল প্রতিরোধে প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা ও সুস্থ জীবন ধারায় সবাইকে অভ্যস্ত করা।
‘সুস্থ কিডনি, সুস্থ জীবন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে কিডনি রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৫ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিডনি সচেতনতা ও সেবা সপ্তাহ ২০১৮ পালিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল দৈনিক প্রথম আলোর সেমিনার কক্ষে, কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য, প্রয়োজন জনসচেতনতা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বিআরবি হসপিটালস লিমিটেড।
বৈঠকে বিআরবি হসপিটালস লিমিটেডের কিডনি বিভাগের প্রধান ও বিশিষ্ট কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: এম এ সামাদ দেশব্যাপী কিডনি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কিডনি রোগের ওপর বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বলেন, শুধু লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে, ৫০-৬০ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। কিডনি সপ্তাহ পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কিডনি রোগের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে দেশব্যাপী মানুষকে সচেতন করা ও কিডনি বিকল প্রতিরোধে প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা করা ও সুস্থ জীবন ধারায় সবাইকে অভ্যস্ত করা।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে জাতীয় সার্ভের মাধ্যমে সঠিক কোনো তথ্য নেই। তবে বিভিন্ন উপাত্ত থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে দুই কোটিরও অধিক লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। ৪০ হাজার লোক দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মারা যান, আরো ১৫-২০ হাজার লোক আকস্মিক কিডনি বিকল হয়ে মারা যান প্রতি বছর। ঘণ্টায় মারা যান পাঁচজন রোগী।
তিনি আরো বলেন, কিডনি বিকল হয়ে গেলে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় ডায়ালাইসিস বা কিডনি সংযোজন। এখনো কিডনি সংযোজনের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য। একজন কিডনি বিকল রোগীর বেঁচে থাকতে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই-তিনবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। ডায়ালাইসিস করতে প্রতি মাসে ওষুধসহ খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। যদিও একই মানসম্পন চিকিৎসা নিতে উন্নত দেশে খরচ হয় প্রায় ১০ গুণ। বাংলাদেশের ১০ শতাংশ লোকেরও সামর্থ্য নেই এই বিশাল ব্যয়ভার বহন করার। তাই ৯০ শতাংশেরও বেশি রোগী মারা যান বলতে গেলে বিনা চিকিৎসায়।
বৈঠকে বিআরবি হসপিটালস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আলতাফ হোসেন এবং এ কে এম শাহরিয়ার, হেড অব ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে বিআরবি হাসপাতালের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, বিআরবি হসপিটালস লিমিটেড স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি দেশের জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নামমাত্র মূল্যে বিআরবি হাসপাতালে কিডনি রোগ নির্ণয়ের কার্যক্রম চলছে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।


আরো সংবাদ



premium cement