২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেঘনা-মেনিখালী নদীতে ভরাট ও নির্মাণ কাজে স্থিতাবস্থা

-

সোনারগাঁয়ের মেঘনা ও মেনিখালী নদীতে ভরাট, দখল ও স্থাপনা নির্মাণ কাজের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সাথে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে একটি কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট এলাকা জরিপের মাধ্যমে দখলকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানাসহ জরিপ প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
অস্তিত্ব সঙ্কটে নদ-নদী ও খাল ভরাট করে ইকোনমিক জোন শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গত ৯ সেপ্টেম্বর দুইটি রিট করে। গতকাল আদালত রিট আবেদন দুইটির ওপর শুনানি গ্রহণ করে আদেশ দেন।
রুলে ওই নদীর দখল বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিবাদিদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা এবং ভরাট করা মাটি ও স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নদী সিএস ও আরএস রেকর্ড অনুসারে সংরক্ষণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ১২ বিবাদিকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
এ বিষয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও ২০০০ সালের জলাধার সংরক্ষণ আইনের বিধান অনুসারে নদীর জায়গা দখল ও ভরাট সম্পূর্ণ নিষেধ। অথচ নারায়ণগঞ্জে মেঘনা নদীতে আমান ইকোনমিক জোন এবং মেনিখালী নদীতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাটি ভরাট, অবৈধ দখল ও স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। তাই রিটটি করা হলে আদালত ওই দুই নদীর জায়গায় মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণ কাজের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। 


আরো সংবাদ



premium cement