২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শরীয়তপুরে কলেজ ছাত্রী হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

-

শরীয়তপুর গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজের অনার্সের ছাত্রী ও শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ বালুচড়া গ্রামের দুবাইপ্রবাসী ইছাহাক মোল্যার স্ত্রী সামসুন্নাহার তানুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগের মামলায় তিনজনকে মৃত্যু দণ্ডের আদেশ দিয়েছেন শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: আবদুস সালাম খান ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর জনাকীর্ণ আদালতে এ আদেশ দিয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেনÑ শরীয়তপুর সদর উপজেলার চররোসুন্দী গ্রামের মজিবুর রহমান পেদার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২), মান্নান মাদবরের ছেলে দুলাল (২২) ও একই গ্রামের কাদের তালুকদারের ছেলে রেজাউল করিম সুজন (২৩। এদের মধ্যে রেজাউল করিম পলাতক রয়েছে।
পালং মডেল থানার মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট বিকেল ৪টায় শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ বালুচড়া গ্রামের ইছাহাক মোল্যার বাড়ি থেকে তার স্ত্রী সামসুন্নাহার তানু প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। স্বামী ইছাহাক মোল্যা দুবাই প্রবাসে থাকায় তার বড় ভাই আবুল কাসেম মোল্যা ওই দিনই পালং মডেল থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। পুলিশ ধর্ষণ ও হত্যার পরিকল্পনাকারী প্রধান আসামি রেজাউল করীম সুজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসা করলে সে হত্যার দায় স্বীকার ও সহযোগী আসামিদের নাম প্রকাশ করে।
আসামিদের দেখানো মতে পৌরসভার ধানুকা গ্রামের সরদার নাসির উদ্দিন কালুর বাড়িসংলগ্ন একটি ডোবা থেকে ইট বেঁধে ডুবিয়ে রাখা তানুর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে ২২ আগস্ট পালং মডেল থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের ভাসুর আবুল কাসেম মোল্যা। ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ মামলার অভিযোগ গঠন হয়। ২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। রাষ্ট্রপক্ষ ১৭ জন সাক্ষীকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে সাক্ষ্য প্রদান করেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক রায়ে আসামিদের ফাঁসির আদেশ দেন।
এ মামলার প্রধান আসামি রেজাউল করিম সুজন ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়। একই সালের অক্টোবর মাসে অন্য দুই আসামি আদালত থেকে জামিনে বের হয়। আসামি রেজাউল করীম কয়েকটি তারিখে নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে আদালতের কাছ থেকে সময় নেয়। গত ৯ আগস্ট হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি এবং অন্য দুই আসামিকে জেলহাজতে পাঠান। মামলার বাদি আবুল কাসেম মোল্যা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রইব্যুনালের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, তারা ন্যায়বিচার পাননি, তাই উচ্চ আদালতে যাবেন।


আরো সংবাদ



premium cement