মানহানির ২ মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ আগস্ট ২০১৮, ০০:২১
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা ও নড়াইলে দায়ের করা মানহানির পৃথক দুই মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আপিল আবেদন করেছে রাষ্ট্রপ। গতকাল রোববার বিকেলে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয় বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ কামরুল হাসান খান (আসলাম) জানান। তবে কবে নাগাদ শুনানি হতে পারে তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ঢাকা ও নড়াইলের জামিনযোগ্য দুই মামলায় নি¤œ আদালত খালেদা জিয়াকে জামিন দেননি। হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পাওয়ার পর সরকার আপিল করলে আমরাও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেব। তিনি বলেন, জামিনযোগ্য মামলায় উচ্চআদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও সেই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা মনে করি এই জামিনযোগ্য মামলায় জামিন পাওয়ার পরও শুধু খালেদা জিয়ার মামলা বলে আপিল করা হচ্ছে। যা নজিরবিহীন। ইতঃপূর্বে কখনো কারো ক্ষেত্রে জামিনযোগ্য মামলায় জামিন পাওয়ার পর সরকার আপিল করেছে বলে আমাদের জানা নেই।
আইনজীবীরা জানান, আগামী ৩০ আগস্ট, ৬, ৯, ১৭ ও ২৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতির আদালত বসার তারিখ রয়েছে।
গত ১৩ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলের আদালতে দায়েরকৃত মানহানি মামলায় ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় গত ৫ আগস্ট নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন। এরপর গত ৯ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম (বর্তমানে জেলা পরিষদ সদস্য) বাদি হয়ে খালেদা জিয়ার নামে নড়াইল সদর আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন।
অন্য দিকে, গত ১৪ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করে জামিন মঞ্জুর করেন।
২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
আইনজীবীরা জানান, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত গত ৭ আগস্ট এ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করলে ১৩ আগস্ট হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে পরদিন ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এর আগে বিচারিক আদালত গত ৭ আগস্ট খালেদা জিয়ার আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশে বলেছিলেন, আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা পেন্ডিং আছে। তিনি এখনো এ মামলায় গ্রেফতার হননি। এ অবস্থায় আসামিপরে জামিন শুনানির আবেদনটি রণীয় নয় বিধায় নামঞ্জুর করা হলো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা