২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

নাড়ির টানে ছুটতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ

ঈদে বাড়ি ফেরার খুশিতে উচ্ছল একটি পরিবার। গতকাল কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে তোলা ছবি : মোহাম্মদ শরীফ -

নাড়ির টানে যাত্রা শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। বিশেষ করে পরিবারপরিজন নিয়ে আগেভাগেই ছুটতে শুরু করেছেন আনেকে। আবার এই তালিকায় রয়েছেন বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। গতকাল ১৭ আগস্ট শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বিপুল মানুষ গ্রামের দিকে রওনা হয়েছেন। রাজধানীর বাস, লঞ্চটার্মিনাল ও ট্রেনস্টেশনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রয়কারী কাউন্টারগুলো থেকে জানা গেছে, সব থেকে বেশি মানুষ যাত্রা করবে ২০ ও ২১ আগস্ট। তবে যারা ঝামেলামুক্ত যেতে পছন্দ করতেন তারা গত ১৩ তারিখ থেকেই বাস-ট্রেনের অগ্রিম টিকিট নিয়ে ছুটতে শুরু করেছেন।
গতকাল থেকেই টার্মিনালগুলোতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। এ দিকে ঈদে বাড়ি ফেরার আনন্দ থাকলেও রাস্তায় যানজটসহ নানা ভোগান্তির বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে যাত্রীদের। উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার বাসচালকেরা আশা প্রকাশ করছেন, গতবারের তুলনায় এ বছর যানজটের মাত্রা কিছুটা কম হবে।
সকাল থেকে মহাখালী বাসটার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। তবে বিকেল নাগাদ সে ভিড় বাড়তে থাকে। বাসটার্মিনালে যাত্রীদের সচেতনতায় মাইকিং করা হচ্ছে। কাজ করতে দেখা যায় বিআরটিএ’র ভিজিলেন্স টিমকেও। টিমের কর্মীরা যাত্রীদের অপরিচিত কারো কাছ থেকে কোনো কিছু না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিভাবে অপরিচিত লোক ক্ষতি করতে পারে, সে বিষয়েও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জগামী হামিদুল ইসলাম পরিবার নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, রবি ও সোমবার দু’দিন তার অফিস রয়েছে। তিনি ঈদের আগের দিন মঙ্গলবারে দেশে যাবেন। কিন্তু ওই সময় প্রচণ্ড ভিড় হবে বলে স্ত্রী ও সন্তানদের আগেই পৌঁছে দিয়ে আবার ফিরে আসবেন। এরপর অফিস ছুটির দিন ২১ আগস্ট তিনি পুনরায় বাড়ি যাবেন। আবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুর হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হওয়ায় তিনি আগেভাগেই বাড়ি ফিরছেন। মহাখালী টার্মিনালে বিভিন্ন বাস কোম্পানির কাউন্টারে গতকালও টিকিট পাওয়া গেছে। যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করেছেন।
গাবতলী টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়। তবে তাদের মধ্যে বেশির ভাগ ছিল নারী ও শিশু। পুরো টার্মিনাল ছিল যাত্রীদের কোলাহলে পূর্ণ। পঞ্চগড়গামী যাত্রী আল আমিন বলেন, অনেক কষ্ট করে ঈদের অগ্রিম টিকিট কিনতে পেরেছিলেন। এবার বাড়ি যাওয়ার পালা। তবে মহাসড়কের যানজট নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।। এক প্রশ্নের জবাবে আল আমিন বলেন, ঈদুল ফিতরে তিনি মহাসড়কে যানজট পাননি। আশা করা হচ্ছে এবারো যানজট হবে না।
তবে যানজট কম হওয়ার ব্যাপারে এ বছর অনেকটাই আশাবাদী বাসের চালকেরা। হানিফ পরিবহনের উত্তরবঙ্গগামী বাসের চালক আবদুল আজিজ বলেন, ঈদুল ফিতরে যানজট কম হলেও এবার যানজট হতে পারে। কারণ অনেক স্থানে মহাসড়কের পাশেই পশুহাট বসানো হয়েছে। পশুহাটের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকলে যানজট বাড়তে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement