২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজু খুনের ঘটনায় এখনো ধরা পড়েনি কোনো ঘাতক

-

সিলেট নগরীর কুমারপাড়ায় ছাত্রদল নেতা ফয়জুল হক রাজু খুনের ঘটনায় এখনো কোনো ঘাতক ধরা পড়েনি। গত শনিবার রাতে সিলেট সিটির পুনর্নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণ শেষে ফেরার পথে নৃশংসভাবে খুন হন রাজু। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ছাত্রদলের এক পক্ষের হামলায় রাজু খুনের ঘটনার পর থেকে নগরীতে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। কোতোয়ালি থানায় রাজুর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওই থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, রাজু হত্যার ঘটনায় যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদের অনেকের সম্পর্কে পুলিশ তথ্য পেয়েছে। তদন্তে বেশ কিছু অগ্রগতিও হয়েছে। পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রোববার তিন ছাত্রদল নেতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে যায়। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজুর সহকর্মী লিটন ও উজ্জ্বলের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
এদিকে পালিয়ে যাওয়া ঘাতকদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাচ্ছে। রাজুর পরিবার ও তার সহকর্মীরা পুলিশকে সন্দেহজনক কয়েকজনের নাম, মোবাইল নম্বর ও ফেসবুক আইডিও দিয়েছেন।
মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
ছাত্রদল নেতা ফয়জুর রহমান রাজুর মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, রাজুর শরীরে বহু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মাথার আঘাতটি ছিল গুরুতর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ময়নাতদন্তের সময় রাজুর ছিন্নভিন্ন দেহ দেখে হতভম্ব হয়ে যান সংশ্লিষ্টরা। চিকিৎসক রাজুর দেহে একে একে ৪৩ কোপের চিহ্ন শনাক্ত করেন। একেকটি কোপের আঘাত খুবই গভীর ছিল। তবে গুরুতর আঘাত ছিল রাজুর মাথা এবং বুকে। এই দুটি আঘাতের কারণে রাজুর দেহ থেকে প্রচুর রক্তকরণ হয়। মাথার ওপরের দুটি আঘাত ছিল দা কিংবা লম্বা চাপাতি জাতীয় কিছুর। এ ছাড়াও তাকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত হয় একাধিক ছোরা। রাজুর মাথার পেছনে বাম পাশে ছিল আরো সাতটি, কপালের ওপর একটি, ডান হাতের বাহু থেকে কব্জি পর্যন্ত ১২টি, দুই হাতে দুটি, চার আঙুলে চারটি, বাম হাতের কব্জির ওপর একটি, বুকে দুটি ও পিঠে দুটি, ডান হাতের নিচে ১০টি এবং ডান পায়ে আরো দুটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া যায়।
‘আপনাদের প্রতিহিংসার বলি আমার ভাতিজা’
‘আপনাদের প্রতিহিংসার রাজনীতির নির্মম শিকার আমার ভাতিজা। আপনাদের কারণেই সে খুন হলো। আপনার আর মুক্তাদিরের জিন্দাবাদ রাজনীতির শিকার সে। কান্নায় ভেঙে পড়ে এমনটি বলছিলেন মধ্যবয়সী লোকটি। তিনি নিহত ছাত্রদল নেতা ফয়জুল হক রাজুর চাচা। গতকাল রোববার দুপুরে ওসমানী হাসপাতালের মর্গের সামনে নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে উদ্দেশ করে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন তিনি। রাজুর চাচাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেন সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন মিলনসহ উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বিজয়কে বিতর্কিত করতেই রাজুকে খুন করা হয় : আরিফ
সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, আমার বিজয়কে বিতর্কিত করতেই একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে ছাত্রদল নেতা ফয়জুল হক রাজুকে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাজুর লাশ দেখতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচারও দাবি করেন আরিফুল। এ সময় মর্গের সামনে উপস্থিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির বিলুপ্তি দাবি করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপদাহে পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ, সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা মাতামুহুরিতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ২ আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ ফেনীতে ইসতিসকার নামাজে মুসল্লির ঢল গাজা যুদ্ধের মধ্যেই ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে ইসরাইলের সামরিক ব্যয় মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা : কাদের গ্যাটকো মামলা : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুনানি ২৫ জুন বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ গলাচিপায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৩টি সংগঠনের নেতৃত্বে মানববন্ধন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

সকল