২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাংলাদেশী-আমেরিকান বিজ্ঞানী আদেলের কৃতিত্ব

-

যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পাইন ব্লাফ ক্যাম্পাসের পদার্থ ও পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মিঞা মোহাম্মদ আদেল পরিবেশ বিজ্ঞানের ওপর লেখা একটি নিবন্ধের জন্য ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। ৬৬ দেশের ৫৭৭৭টি আর্টিকেলের মধ্যে ড. আদেলেরটা শীর্ষস্থানে রয়েছে। তার আর্টিকেলের শিরোনাম ÔLightning generation correlation with widespread irrigation and means of protectionÕ এবং তা গত ফেব্রয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব আফ্রিকান বায়োটেকনোলজিস্টস অ্যান্ড বায়োসায়েন্টিস্ট’র পত্রিকায়।
এমন একটি সম্মান অর্জনে তার অনুভূতি জানতে চাইলে ড. আদেল ১১ আগস্ট এ সংবাদদাতাকে বলেন, ‘এটা আমার আশাতীত অর্জন। পরিবেশ বিজ্ঞানের ওপর অনেক আর্টিকেল লিখেছি- যার সবগুলোর মধ্যেই নতুনত্ব রয়েছে। তবে এই আর্টিকেল যে এত উঁচুমানের হবে তা ভাবতেও পারিনি।’
‘তবে এই বিশ্বাস ছিল যে আর্টিকেলটা প্রকাশিত হলে উজানে জলদস্যুতা করে পানি মওজুদের ফলাফল ও সময়ে-অসময়ে বজ্রপাত ঘটার কারণের ওপর একটা আলোড়ন সৃষ্টি করবে’-মন্তব্য ড. আদেলের।
উল্লেখ্য, ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ভারতপুরে অবস্থিত International Agency for Standards and Ratings (https://sites.google.com/site/uabnuniversalagencybooknumber/international-agency-for-standards-and-ratings) ড. আদেলকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেন, সারাবিশ্বে মেধাবী বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করার অভিপ্রায়ে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে কয়েক বছর আগে।
ইউএসএ নিউজ করপোরেশন ড. আদেলের ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত ফলাও করে প্রকাশ করেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অহঙ্কারের প্রতীক বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
ইদানীং বজ্রপাতের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে ও সময়-অসময়ে ঘটছে। বিশেষ করে যে সব অঞ্চলে জমিতে পানি সেচ করে চাষবাস করার অনেক প্রয়োজনীয়তা বা প্রবণতা রয়েছে- সে অঞ্চলেই বজ্রপাতের প্রকোপ বেশি। এসব নিয়েই লিখেছেন আর্টিকেলটি।
উল্লেখ্য, বিগত তিন দশক ধরে পানিসম্পদ নিয়ে গবেষণা করছেন ড. আদেল। কিছু কিছু উজানের দেশ বিশ্বসংস্থাসমূহের নিকট অঞ্চল বা দেশ নির্বিশেষে জলাশয় রক্ষার প্রতিজ্ঞার বরখেলাপ করে (যেমন বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিম ও পশ্চিমাংশকে মরুভূমি করেছে ভারত) ভাটির দেশের প্রতি জলদস্যুতা করে থাকে। ভাটির দেশকে প্রাপ্য পানি থেকে বঞ্চিত করে থাকে। পরিবেশ ধ্বংস করে থাকে। জলদস্যুতা করে অর্জিত পানি অধিক খাদ্য ফলাতে ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করে থাকে। আবার ভাটির দেশকে আনুগত্য প্রকাশে হয়রানি করেও থাকে কারণ পানি হচ্ছে অনুগত রাখার সর্বশ্রেষ্ঠ হাতিয়ার। এসব বিষয়েই ভারত অগ্রগামী রয়েছে তার প্রতিবেশীদের হক মারতে-উল্লেখ করা হয়েছে এই আর্টিকেলে।

 


আরো সংবাদ



premium cement