১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কে জিতবে নৌকা নাকি লাঙ্গল?

২৫ জুলাই কুড়িগ্রাম-৩ আসনে উপনির্বাচন
-

কুড়িগ্রাম-৩ আসনে উপনির্বাচনের প্রচারণা শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে। দিনক্ষণও ঘনিয়ে আসছে। আগামী ২৫ জুলাই ভোট গ্রহণ। ভোটের হিসাব নিকাশ কষছেন উভয়দলের কর্মী-সমর্থকেরা। ভোটে কে জিতবে নৌকা নাকি লাঙ্গল? তবে জাপা প্রার্থী কর্মী-সমর্থকদের দাবি ভোট সুষ্ঠু হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জাপা প্রার্থী বিজয়ী হবেন।
ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে দলের কর্মী-সমর্থকেরা তত প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিন নির্বাচনী প্রচারণায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দুই দলের প্রার্থী চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। জয়ের ব্যাপারে উভয় প্রার্থী শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচনী প্রচারণায়ও তারা ভোটারদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন বলে দাবি করছেন। তবে শেষ হাসি কে হাসবেন? এম এ মতিন নাকি ডা: আক্কাছ আলী সরকার? এই প্রশ্নে বিভক্ত উলিপুরের সুধীসমাজ। তারা বলছেন, এবারে দল নয় বরং সাধারণ ভোটারদের সমর্থন যে দিকে যাবে তিনিই জিতবেন। তাদের মতে, শুধু দল নয় এ নির্বাচনে জাপা প্রার্থী ডা: আক্কাছ আলী সরকারের ব্যক্তি ইমেজও কাজ করছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী অধ্যাপক ডা: আক্কাছ আলী সরকার তার রংপুর প্রাইম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ দিন থেকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে এলাকার মানুষের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরে কুড়িগ্রামের গ্রামগঞ্জে মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে ভোট পাওয়ার পথ সুগম করেছেন। এ দিকে, বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মতিন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে ভোটারদের প্রত্যাশা আগামী ২৫ জুলাই যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে বিপাকে পড়েছে অনেকে। ভোটারেরাও রয়েছেন অনেক সমস্যায়। প্রার্থী পছন্দ হলেও অনেকের প্রতীক পছন্দ না হওয়ায় পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারছেন না। অন্য দিকে, প্রতীক নিজ দলের হলেও প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় কাক্সিক্ষত ওই প্রতীকে ভোট প্রদানে দ্বিধায় পড়েছেন অনেকেই।
এ দিকে, উভয় প্রার্থীই প্রতিশ্রুতির ঝুলি নিয়ে মাঠে কান্তিহীন প্রচারণায় সময় কাটাচ্ছেন। অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতীক নয় প্রার্থীকেই প্রাধান্য দেবে তারা। ভোটারদের সমর্থন পেতে সভা-সমাবেশ উঠান বৈঠক ছাড়াও দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকেরা। ভোটারদের মন জয় করতে এলাকার রাস্তা-ঘাট,স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষারমান উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরিকরণ, কৃষি উন্নয়নসহ সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন প্রার্থীরা। দূষণমুক্ত পরিবেশ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলছেন তারা। সুধীসমাজ মনে করেন, সৎ ও আদর্শবান, দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা হলে উন্নয়নবঞ্চিত উলিপুর-চিলমারী উপজেলাবাসীর সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এ কে এম মাঈদুল ইসলামের মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য হয়। কুড়িগ্রাাম-৩ উপনির্বাচনে উলিপুর উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়ন ও চিলমারী উপজেলার চারটি ইউনিয়ন (রমনা, থানাহাট, চিলমারী ও রানীগঞ্জ) নিয়ে গঠিত। এ আসনটিতে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫৭ হাজার ৮৯৬ জন। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৪ হাজার ৪৩৮ জন এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ৮৩ হাজার ৪৫৮ জন। গত ১০ জুন নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।


আরো সংবাদ



premium cement