২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অপরূপ সৌন্দর্য আর ঐতিহ্যের স্বাক্ষর নীলফামারীর চিনি মসজিদ

অনন্য স্থাপত্য
-

অপরূপ সৌন্দর্য, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের স্বার বহন করছে নীলফামারীর সৈয়দপুর চিনি মসজিদ। প্রাচীন এ মসজিদটি উত্তরাঞ্চলের অন্যতম মসজিদ হিসেবে সুনাম অর্জন করলেও সংস্কারের অভাবে সৌন্দর্য হারাতে বসেছে।
১৮৬৩ সালে সৈয়দপুর উপজেলার গোলাহাট এলাকায় স্থাপিত হয় চিনি মসজিদ। প্রথম দিকে এটি একটি দোতলা টিনের ঘর ছিল। পরে হাজী হাফিজ আবদুল করিম নামের স্থানীয় এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি উদ্যোগ নিয়ে এর পাকা করার কাজ শুরু করেন। এ সময় ২৫ টন চিনামাটির পাথর দিয়ে মসজিদের পুরো অবয়ব আবৃত করা হয়। চিনা পাথর দিয়ে আবৃত করায় এর নাম দেয়া হয় চিনি মসজিদ। এ ছাড়া ভারত থেকে ২৪৩টি শস্কর ও মর্মর পাথর এনে মসজিদের গায়ে লাগানো হয়। এ নয়নাভিরাম মসজিদে রয়েছে ৩২টি মিনার ও তিনটি গম্বুজ। চিনা মাটির টুুকরা দিয়ে বিভিন্ন ফুল ও গাছের ছবি আঁকা হয়েছে মসজিদের বিভিন্ন স্থানে। এ ছাড়া মসজিদের ভেতরে ও বাইরে রয়েছে চিনা মাটির নানা কারুকাজ। একসাথে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির রয়েছে ওজুর ব্যবস্থা। আছে ইমাম ও মোয়াজ্জেমের থাকার কক্ষ। চিনি মসজিদের নিমার্ণশৈলী ও কারুকাজ দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে লোকজন আসেন এখানে। পর্যটকদের থাকার জন্য মসজিদটিতে রয়েছে একটি ক। জুমার নামাজ পড়তে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসেন এই মসজিদে। এ সময় কানায় কানায় ভরে যায় মসজিদ, মসজিদের বারান্দা ও এর সামনের সড়কটি। স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় মসজিদটি পরিচালিত হলেও বর্তমানে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে। মসজিদটির ইমাম হাফিজ সাইফ রেজা জানান, নির্মাণশৈলী আর অপরূপ-সৌন্দর্যে চিনি মসজিদে নামাজ পড়তে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা আসেন।
চিনি মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তে আসা সালাউদ্দীন, জনি,আবদুর রউফ জানান, মসজিদটির অতীত সৌন্দর্য যাতে নষ্ট না হয় এ জন্য সবার এগিয়ে আসা দরকার।
মসজিদ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী ওরফে হিটলার চৌধুরী জানান, ২০১৬ সালে মসজিদটির দু’টি রুম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, প্রস্রাবখানা, পুরনো পিলার সংস্কার, নামাজের জায়গা ও বারান্দা সম্প্রসারণসহ মসজিদটির আগের আকৃতি ফিরিয়ে আনতে সংস্কার করা দরকার। কিন্তু আর্থিক সঙ্কটের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি মসজিদটির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ধরে রাখতে সরকারি, সহায়তার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসহ ধর্মপ্রাণ মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার জানান, দিন দিন চিনি মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মসজিদটি সম্প্রসারণ করা দরকার। সেই সাথে দরকার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ আর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।


আরো সংবাদ



premium cement
নাটোরে স্কুলছাত্রকে ডেকে নিয়ে হত্যা, আটক ৪ মেহেদির রঙ শুকানোর আগেই দুর্ঘটনায় তরুণ নিহত ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে আহত কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২ রাশিয়ার ২৬টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ‘অস্থায়ীভাবে’ ক্ষমতায় রয়েছে : জান্তা প্রধান গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত উত্তরপ্রদেশে কারাগারে মুসলিম রাজনীতিবিদের মৃত্যু : ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগের

সকল