১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলনে দাবি

স্বর্ণ হেরফের হয়নি সুরক্ষিত আছে ভল্ট

-

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে স্বর্ণ যেভাবে রাখা হয়েছিল সেভাবেই আছে। কোনো প্রকার হেরফের হয়নি। একটি করণিক ভুলের কারণে স্বর্ণের মানের পার্থক্য দেখা দিয়েছে। এমনটিই দাবি করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এ বিষয়ে গত ১১ জুলাই এনবিআর ও শুল্ক গোয়েন্দাকে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি। এতে এনবিআরের স্বর্ণের মান যাচাই মেশিনের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, শুল্ক গোয়েন্দা নিজস্ব মেশিন দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের স্বর্ণের মান যাচাই করেনি। করেছে ভাড়া করা মেশিন দিয়ে। তৃতীয় পক্ষের কাছে যাচাইয়ের দাবি করলেও শুল্ক গোয়েন্দা তা শোনেনি। এ ক্ষেত্রে ভল্টে রাখা স্বর্ণে কোনো প্রকার হেরফের হয়নি বলে দাবি করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ভল্ট এলাকায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘিœত হয়নি। সবই ঠিক আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রবিউল হাসান, ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্সের মহাব্যবস্থাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ, কারেন্সি অফিসার আওলাদ হোসেন চৌধুরী ও ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্টের মহাব্যবস্থাপক সুলতান মাসুদ আহমেদ।
গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। এতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকে জ মা রাখা হয়েছিল তিন কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের চাকতি ও আংটি, তা হয়ে আছে মিশ্র বা সঙ্কর ধাতু। ছিল ২২ ক্যারেট স্বর্ণ, হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট। দৈবচয়ন ভিত্তিতে নির্বাচন করা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রতি ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ পরীা করে বেশির ভাগের েেত্র এ অনিয়ম ধরা পড়ে। প্রতিবেদনটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপকে দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গতকাল জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতিবেদনটি সঠিক নয়। ভল্টে স্বর্ণ যেভাবে রাখা হয়েছিল সেভাবেই আছে। কোনো হেরফের হয়নি। শুধু কিছু করণিক ভুলের কারণে স্বর্ণের মানের পার্থক্য দেখা দিয়েছে।
করণিক ভুলের ব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, একটি রিং মানের বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত স্বর্ণকার যখন এটি পরিমাপ করেন তখন বলেছিলেন, সেই রিংয়ে ৪০ শতাংশ স্বর্ণ আছে। কিন্তু পরে প্রতিবেদন তৈরি করার সময় ভুলে ৪০ কে ৮০ (ইরেজিতে শব্দ মনে করে) লেখা হয়। শুল্ক গোয়েন্দারা ভল্ট পরিদর্শন শেষে এ বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তাদের ব্যাখ্যা দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, স্বর্ণ জমা দেয়ার সময় এনবিআরের যে কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন ওই কর্মকর্তাকে সরেজমিন এনে তা যাচাই করা হয়। ওই কর্মকর্তাও যে স্বর্ণের চাকতি জমা দিয়েছিলেন সেটি যাচাই করে জমা দেয়া স্বর্ণের চাকতি বলেই প্রমাণপত্র দিয়ে গেছেন। ফলে জমা দেয়া স্বর্ণের কোনো হেরফের হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে জমা দেয়া স্বর্ণের মান যাচাই করার বিষয়ে বলা হয়, এনবিআর যখন কোনো স্বর্ণ জমা দেয় তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত স্বর্ণাকার দিয়ে প্রচলিত পদ্ধতিতে স্বর্ণের মান যাচাই করা হয়। এরপর ছয়স্তর নিরাপত্তা বিশিষ্ট ভল্টে তা রাখা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ যখন তাদের জমা দেয়া স্বর্ণের মান যাচাই করতে আসে তখন তাদের ভাড়া করা মেশিন দিয়ে স্বর্ণের মান যাচাই করে। এতে কিছু হেরফের দেখা দেয়। যেহেতু তাদের নিজস্ব মেশিন দিয়ে করা হয়নি, তাই গ্রহণযোগ্য তৃতীয় কোনো সংস্থার মাধ্যমে স্বর্ণের মান যাচাই করতে এনবিআরকে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তাতে সায় দেয়নি। পরে এনবিআর থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গত ১১ জুলাই তা জানানো হয়। ফলে স্বর্ণের মান নিয়ে যে প্রশ্ন উত্থাপন হয়েছে তা সঠিক নয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, শুল্ক গোয়েন্দা ডিজিটালি সোনার মান পরীক্ষা করে জমা করতে আসেন। আমরা ম্যানুয়ালি করি। তবে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। জাপান থেকে একটি মেশিন চার কোটি টাকা দিয়ে আনা হয়। কিন্তু সেটি অনেক সময় ভুল প্রতিবেদন দিচ্ছিল। তাই মেশিনটি ফেরত দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নির্বাচিত স্বর্ণকার আছেন। তিনি যাচাই-বাছাই করে সোনার মান নির্ধারণ করে দেন। কেন একজন স্বর্ণকারের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশ ব্যাংকÑ এমন প্রশ্নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্য, এর আগে এমন পরিস্থিতি হয়নি। এখন বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করা হবে। তবে শুল্ক গোয়েন্দার প্রতিবেদন কতটা গ্রহণযোগ্য সেই প্রশ্ন রয়েছে। তাদের নিজস্ব কোনো মেশিন নিয়ে তারা আসেনি। আমরা আণবিক শক্তি কমিশনে সব সোনা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তবে শুল্ক গোয়েন্দা সাড়া দেয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement
মসজিদের ভেতর থেকে খাদেমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে সৎভাইকে কুপিয়ে হত্যা দুবাই পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণ কি কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো? এ দেশের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : ডাঃ শফিকুর রহমান পিছিয়েছে ডি মারিয়ার বাংলাদেশে আসার সময় ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী

সকল