২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ব্যাংকাররা সৌভাগ্যক্রমে সুবিধা পেয়েছেন : এনবিআর চেয়ারম্যান

করপোরেট ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি এমসিসিআইর

-

নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট ট্যাক্স কমানোর যে প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী দিয়েছেন তাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি মন্তব্য করে এ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। গতকাল মতিঝিলের চেম্বার ভবনে আয়োজিত বাজেট-উত্তর পর্যালোচনা সভায় এ দাবি উত্থাপন করেন চেম্বারের সভাপতি নেহাদ কবির। শুধু কিছু ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ কমানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অসংখ্য কোম্পানি রয়ে গেছে যাদের করহার কমানো হয়নি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির েেত্রও করহার কমানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এই করহার কমানোর েেত্র কিছুটা লেভেল প্লেইং ফিল্ড মেনে করা উচিত।
এমসিসিআই সভাপতির অভিযোগের সূত্র ধরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, করপোরেট ট্যাক্স নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এখানে বলা হচ্ছে আমরা ব্যাংকারদের সুবিধা দিয়েছি। প্রকৃত অর্থে তারা সৌভাগ্যক্রমে সুবিধা পেয়েছেন। সবার েেত্র কমানো হলে রেভিনিউ অনেক কম হতো। তাই কমানো সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা তাদের করপোরেট করহার কমিয়েছি; যাতে তারা সুদের হার কমাতে পারে। ইতোমধ্যে তারা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের ওপরে একটা আঘাত হবে কারণ তাদের রেট একটু বেশি। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এখান থেকে আসে মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই কারণে ব্যাংকের ওপর তেমন প্রভাব পড়ে না।
সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বেশি কমানো ঠিক হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটা যৌক্তিক পর্যায়ে আনা হবে। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, তৈরী পোশাক শিল্প অনেক সুবিধা পায়। তাদের মতো অন্যদের সুবিধা দিলে তারাও ভালো করবে। অন্যরা করপোরেট ট্যাক্স বেশি দেয়। আর পোশাক শিল্প কম দেয়। এ জন্য একটু বাড়িয়েছি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, তিন কারণে লোকাল ব্যাংকগুলো তারল্য সঙ্কটে ভুগছে। ব্যাংকের ডিপোজিট গ্রোথ কমে গেছে। ২০১২ সালের ১৯.৪ শতাংশ ডিপোজিট গ্রোথ ২০১৭ সালে নেমেছে ৯.৫ শতাংশে। অধিক পরিমাণে নন-পারফরমিং লোন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রি এই সঙ্কটকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বন্ড মার্কেটকে ডুবিয়ে দিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎসকে দুর্বল করা হয়েছে। বন্ড মার্কেট ছাড়া প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়বে না। এখন এফডিআই কমার পাশাপাশি কমে গেছে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ। এ জন্য বিদেশীরা শেয়ার বিক্রি করে সাইড লাইনে চলে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement