ছয় মাসের মধ্যে সংস্কার নাহলে পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ২২ জুন ২০১৮, ০০:০০
বিভিন্ন তৈরী পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তাজনিত সমস্যাগুলো আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। এ সময়ের মধ্যে ভাড়া বাড়িতে থাকা কারখানাগুলো নিজস্ব ভবনে সরিয়ে নেয়ারও অনুরোধ জানান তিনি। অন্যথায় কারখানা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কাজগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করেন। নতুবা আমরা ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেবো।’
গতকাল রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত ‘গার্মেন্ট শিল্পের সংস্কার প্রক্রিয়ায় জাতীয় উদ্যোগ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে পোশাক কারখানার মালিকেরা সংস্কার কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী এসব সমস্যা দূর করার আশ্বাস দিয়ে বেশ কয়েকটি কারখানাকে তিন থেকে ছয় মাস সময় বেঁধে দেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বিজিএমই সভাপতি মো: সিদ্দিকুর রহমান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক মো: শামসুজ্জামান ভূঁইয়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন এবং বিজিএমই, বিকেএমই পরিচালক ও শতাধিক গার্মেন্ট মালিক বা তাদের প্রতিনিধি মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায় যেহেতু করতে হবে শিডিউল অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করেন। আমরা রূঢ় আচরণ করতে চাই না। ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ না হলে জানুয়ারি থেকে আমরা ফ্যাক্টরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেবো। তিনি বলেন, যাদের এখনো নিজস্ব^ ভবন নেই, তারা তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিজস্ব ভবনে চলে যাবেন। আমরা কিভাবে বুঝব আপনারা সরকারের শর্ত পূরণ করেছেন। এ জন্য যে ২৬টি ফার্ম আছে তাদের দিয়ে অডিট করাবেন। তারা সার্টিফিকেট দিলে আমরা ভেবে নেবো আপনারা শর্ত পূরণ করেছেন। তবে ফার্মে কেউ যদি অনৈতিক কোনো শর্ত দেয়, আমরা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবো।
সভায় জানানো হয়, জাতীয় উদ্যোগের আওতায় কারখানার সংখ্যা ১৫৪৯টি। এর মধ্যে বর্তমানে ৭৫৫টি কারখানা এ উদ্যোগের আওতায় সক্রিয় রয়েছে। এ কারখানাগুলোর ৩২ শতাংশের কম সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৫টি কারখানা সংস্কার কাজ শুরুই করেনি এবং ৭৫৩টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত শতভাগ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র সাতটি কারখানায়।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে জাতীয় ত্রিপীয় কর্ম-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ্যাকর্ড, এলায়েন্স এবং জাতীয় উদ্যোগের আওতায় মোট তিন হাজার ৭৮০টি পোশাক কারখানার প্রাথমিক মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। কারখানা সংস্কারের বিষয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্ত ২৫ ও ২৬ জুন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠেয় সাসটেইন্যাবিলিটি কমপ্যাক্টের চতুর্থ সভায় বিষয়টি তুলে ধরা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা