২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
অবশেষে নীতিমালা জারি

ঈদের পর এমপিওভুক্তির আবেদন গ্রহণ

-

অবশেষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বহুল আলোচিত জনবল কাঠামো ও এমপিওভক্তিরর নতুন নীতিমালা-২০১৮ জারি করা হয়েছে গতকাল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব সালমা জাহান স্বাক্ষরিত এ নীতিমালাটি গতকালই মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে অবমুক্ত করা হয়। তাতে দেখা যায়, নীতিমালাটি গত ১২ জুন স্বাক্ষর করা হয়েছে। নতুন নীতিমালার ভিত্তিতেই এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এমপিওভুক্তি করা হবে।
যুগ্মসচিব সালমা জাহান গতকাল নতুন নীতিমালা সম্পর্কে বলেন, জারির পর থেকেই নতুন নীতিমালা কার্যকর হয়েছে। এখন থেকে এরই ভিত্তিতে বেসরকারি নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য ঈদের পরপরই আবেদন আহ্বান করা হবে। নতুন নীতিমালার আলোকেই কাম্য যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করে নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে। তিনি জানান, একসাথে সব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচনায় নেয়া হবে না। পর্যায়ক্রমে নেয়া হবে। নীতিমালায়ই এ ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে।
নতুন নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা ৩৫ বছর চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ৩৫ বছরের বেশি বয়সী কেউ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন না। পাশাপাশি শিক্ষকদের অবসরের বয়স হবে ৬০ বছর। ৬০ বছর পূর্ণ করা কাউকে প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান বা সাধারণ শিক্ষক পদে পুনঃনিয়োগ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা যাবে না। নীতিমালায় শিক্ষকের এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিয়োগে স্বচ্ছতা, নিয়োগের প্রাথমিক বয়স, অবসরের বয়সসীমাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ারও শর্ত রয়েছে এতে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হলে শিক্ষকও এমপিওর জন্য বিবেচিত হবেন না, এমন বিধান রাখা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনে বদলির ব্যবস্থা করতে পারবে। এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক অন্য প্রতিষ্ঠানে সমান বা উচ্চতর পদে আবেদন করতে পারবেন। কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিলে তিনি বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবেন। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পদত্যাগ করেন, তাহলে সর্বোচ্চ দুই বছর তার ইনডেক্স (বেতন পাওয়ার কোড) নম্বর বহাল থাকবে। এর বেশি হলে তা চাকরি বিরতি হিসেবে গণ্য হবে।
ইনডেক্স নম্বর বা নিবন্ধন সনদ ছাড়া কাউকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। নিয়োগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মেধাক্রম/মনোনয়ন/নির্বাচন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নীতিমালায়। নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনে শুধু একটি তৃতীয় বিভাগ/সমমান গ্রহণযোগ্য হবে। এ নীতিমালা জারির পর কেউ যদি বকেয়া প্রাপ্য হন, সে ক্ষেত্রে তা পরিশোধ করা হবে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement