২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

শুধু পুলিশের বাড়িতে চুরি!

-

এখন সব পেশাতেই বিশেষায়নের যুগ। তা চিকিৎসক-প্রকৌশলী হোন বা শিক্ষক অথবা আইনজীবী। বিশেষ ক্ষেত্রে পারদর্শিতা না থাকলে উন্নতি করা কঠিন। এ সত্যটা খুব ভালো করে বোধ হয় বুঝেছিল কুড়ি বছর বয়সী কমলজিৎ সিং।
সে কারণে ভারতজুড়ে হাজার হাজার চুরির ঘটনার মধ্যে কমলজিৎ সিংয়ের নাম এখন সংবাদ শিরোনামে। মুম্বাইয়ের এই তরুণ চুরি করত শুধু পুলিশ সদস্যদের বাসায়।
সে হয়তো ভেবেছিল পুলিশকর্মীর বাড়িতে কোনো চোরের ঢোকার সাহস হবে না। সেখানে নিরাপত্তা তত আঁটোসাঁটো নয়। ওই ভরসাতেই সে গত বছর হানা দেয় বেশ কয়েকটি পুলিশের বাড়িতে।
ক’দিন আগে কালিচৌকি এলাকার পুলিশকর্মীদের কোয়ার্টারে ঢুুকেছিল সে। ভোরের দিকে বিজয় বানে নামে এক কনস্টেবলের কোয়ার্টারে ঢুকে ৬০ গ্রাম সোনা আর ২৮০০ টাকা চুরি করে। তারপর একতলায় এক নারী কনস্টেবলের কোয়ার্টারের দরজা ভেঙে ঢুকেছিল। পাশের ফ্ল্যাট থেকে যাতে কেউ বেরোতে না পারে, সে জন্য দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে তিনতলার বাসিন্দা আরেক কনস্টেবল যশবন্ত রসমের নজরে পড়ে।
রসম সাথে সাথে সতর্ক করে দেন আরো দুই সহকর্মীকে। এরপর তিন পুলিশ সদস্য তাকে অনুসরণ করতে থাকেন। টের পেয়ে দৌড়ে পালাতে শুরু করে কমলজিৎ। বেশ কিছুটা দূরে কটন গ্রিন রেলস্টেশনের কাছে ধরা পড়ে সে।
পুলিশের ঘরেই সিঁদ কাটতে থানা হেফাজতে তার কী অবস্থা হয়েছিল, তা জানা যায়নি, তবে এই প্রথম যে সে পুলিশকর্মীদের বাড়িতে চুরি করল, তা নয়। ওয়াদলা আর বাইকুল্লা এলাকার বেশ কয়েকটি পুলিশ আবাসনে আগে হানা দিয়েছিল কমলজিৎ সিং।
এক পুলিশ কনস্টেবলের সার্ভিস রিভলবার আর ৩০ রাউন্ড গুলি চুরির অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় গত বছর গ্রেফতারও হয়েছিল কমলজিৎ। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের পুলিশের ঘরে চুরি শুরু করে।
উগালে বলেন, ও হয়তো ভেবেছিল আমাদের কোয়ার্টারে অন্য কোনো চোর ঢুকতে সাহস পাবে না। তাই অন্য আবাসনের মতো কড়া নিরাপত্তা থাকে না আমাদের কোয়ার্টারে। এবারো পার পেয়ে যেত, তিনজন কনস্টেবল সন্দেহের বশে তার পিছু না নিলে। বিবিসি।

 


আরো সংবাদ



premium cement