২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু

-

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের পর এবার আপিল বিভাগেও বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, হাইকোর্ট বিভাগ থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এ নিয়োগ দেয়া হবে। তবে নিয়োগের আগে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন ও সরকারের নীতিনির্ধারণীপর্যায় থেকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ১১টি বিচারকের পদের মধ্যে বর্তমানে ৭টি পদই শূন্য। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ বর্তমানে আপিল বিভাগে ৪ জন বিচারপতি কর্মরত আছেন। আপিল বিভাগে বিচারক স্বল্পতার কারণে তিনটির মধ্যে দুটি বেঞ্চ (কোর্ট) দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে একটি মাত্র বেঞ্চে বিচারকাজ চলছে। শূন্যপদে নতুন কোনো বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে আপিল বিভাগে মামলাজটও বাড়ছে। বর্তমানে আপিল বিভাগে ১৬ হাজার ৫৫৬টি মামলা বিচারাধীন আছে বলে সূত্র উল্লেখ করেছে।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ১১ জন বিচারপতি কর্মরত ছিলেন। ২ জন অবসরের পর ২০১৭ সালে এ সংখ্যা নেমে আসে ৯ জনে। একই বছরের ১ জানুয়ারি বিচারপতি বজলুর রহমান ছানার মৃত্যুর পর আপিল বিভাগে এ সংখ্যা নেমে আসে ৮ জনে। একই বছরের ১৪ মার্চ বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও ৬ জুলাই বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা অবসরে যাওয়ার পর এ সংখ্যা ৬ জনে নেমে আসে।
একই বছরের নভেম্বরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এবং চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা পদত্যাগ করেন। এরপর আপিল বিভাগে বিচারক সঙ্কট চরম আকার ধারণ করে। সে থেকেই চার বিচারপতি একটি বেঞ্চেই বিচারকার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে ৩ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, ১৯৭২ সালে ৩ জন, ১৯৭৩ সালে ৪ জন এবং একই বছরে পরবর্তীতে এ সংখ্যা ৫ জনে উন্নীত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে আবার ৪ জনে নেমে আসে। ১৯৯৫ সালে ছিলেন ৪ জন।
শুধু আপিল বিভাগেই নয়, হাইকোর্ট বিভাগেও বিচারক স্বল্পতা দেখা দেয়ায় গত ৩০ মে হাইকোর্ট বিভাগে ১৮ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়। হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ১৮ জনসহ বর্তমানে বিচারক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ জনে।

 


আরো সংবাদ



premium cement