২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১৪ বছর পর চাকুরী ফিরে পেলেন নজরুল ইসলাম

- ফাইল ছবি

আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৪ বছর পর চাকুরী ফিরে পেলেন বাগেরহাটের শরণখোলার মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার। ১৫ জানুয়ারি বুধবার স্বপদে বহালের নির্দেশের পক্ষে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।

এর আগে ২০০৭ সালে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে বরখাস্ত করে। পরবর্তীতে যশোর শিক্ষা বোর্ড তাকে ২০১০ সালে স্ব-পদে বহালের নির্দেশ দেন।

জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার মাতৃভাষা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৩ সাল থেকে ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেন মতিউর রহমান মতিন। মতিনের নির্দেশ জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সী বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের টিউশন ফির ১৩ হাজার ৯২০ টাকা, বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ৫০ হাজার টাকা ও হিন্দু তপশিলী উপবৃত্তির এক হাজার ৪৪০ টাকা আত্মসাতসহ বাগেরহাট আদালতে দু’টি মামলা দায়ের করেন।

আদালতে অর্থ আত্মসাতের মামলা মিথ্যা প্রমানিত হয়। এসব মামলার রায়ের প্রমানাদিসহ বোর্ডে আবেদন করলে বোর্ড তা যাচাই-বাছাই ও একাধিক তদন্তের পর ২০১০ সালের ১৭ ফেব্রুারি তাকে স্ব-পদে পুনর্বহালের আদেশ দিলে তাকে কলেজে যোগদান করতে দেয়া হয়নি। বাদি বোর্ডে ওই আদেশ এবং নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিলের দীর্ঘ শুনানী শেষে ২০১০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বোর্ডের আদেশ, ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর এবং ২০১৭ সালের পাঁচ জানুয়ারি বাগেরহাট সাব জজ (১ম) রায় ও ডিক্রি বহাল রেখে হাইকোর্টের বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাসের একক বেঞ্চ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের পক্ষে রায় প্রদান করেন।

অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ২০০৮ সালে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ইস্তফাপত্র নিয়ে কলেজ থেকে বের করে দিয়েছে। ১৪ বছর পর রায় পেয়েছি কিন্তু এখনো আমার বিরুদ্ধে বাদী ও তার লোকজন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমি যাতে কলেজে যোগদান করতে না পারি সেই অপচেষ্টা করছেন তারা।

এ ব্যপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: ওলিয়ার রহমান বলেন, নজরুল ইসলাম হাই কোর্টের রায় শুনেছি। তবে, তিনি যোগদান করতে এখনও কলেজে আসেননি। তার অনুপস্থিতিতে আমি দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিলে আমার কোন সমস্যা নেই।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, এ বিষয়ে এখনো অফিসিয়ালি কাগজপত্র আসেনি। এলে অধ্যক্ষের যোগদানের ব্যপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement