প্রাইভেট কারে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ২

যশোরের চৌগাছায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে দুই বন্ধু। এ ঘটনায়  সাগর আহাম্মেদ (১৮) ও সহযোগী সজীব রহমান হৃদয়কে (১৯) আটক করেছেন পুলিশ।

আটককৃত সাগর উপজেলার পাশাপোল গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন ছেলে এবং হৃদয় পৌরসভার শহরের জিওলগাড়ির বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর উপজেলার জগদীশপুর তুলা বীজ বর্ধণ খামারে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ঐ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে প্রেমিকও তার বন্ধু। এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর ধর্ষিতা নিজে চৌগাছা থানায় ধর্ষণ মামলা করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। ১৫ ডিসেম্বর পুলিশ দুই আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। একইসাথে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

থানা সূত্রে প্রকাশ, অভিযুক্ত সাগরের সাথে দুই মাস আগে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে মেয়েটির পরিচয় হয়। এরপর প্রতিদিন তাদের ফেসবুকের মাধ্যমে দুই-একবার কথাবার্তা হতো। এক পর্যায়ে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সে সুবাদে গত ৭ ডিসেম্বর মেয়েটি প্রেমিক সাগরের ডাকে সাড়া দিয়ে জগদীশপুর তুলা ফার্মে দেখা করতে যায়। সেখানে কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে মেয়েটিকে পটিয়ে তারা একটি কালো প্রাইভেট কারে তুলে নেয়। গাড়ির মধ্যেই বেলা ১১টার দিকে সজীবের সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করে। সাগরের ধর্ষণ শেষে সজীবও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটির ডাক চিৎকারে প্রাইভেটের চালক গাড়ীর নিকট চলে আসে। পরে ওই প্রাইভেটেই তাকে নিয়ে তুলা খামার ত্যাগ করে। পরে কৌশলে ছাত্রীর বাড়ির পাশের একটি বাজারে তাকে নামিয়ে দেয়।

নামার সময় তারা হুমকি দিয়ে বলে এই ধর্ষণের ঘটনা তারা ভিডিও করে রেখেছে। কাউকে জানালে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে। পরবর্তীতে বিষয়টি মেয়ে পিতা-মাতাকে জানিয়ে ১৪ ডিসেম্বর চৌগাছা থানায় ধর্ষণ মামলা করে। পুলিশ রোববার অভিযুক্তদের আটক করেন।

এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজিব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত দুজনই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।  ভুক্তভোগী মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।