২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাসপাতালে কেনাকাটার নামে ১৪ কোটি টাকা লুপাট করেছেন ডা. তাপস

ডা. তাপস কুমার সরকার - ছবি : নয়া দিগন্ত

এবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বরাদ্দ থেকে যন্ত্রপাতি কেনার নামে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট করেছেন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার।

এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্তে ডা. তাপস কুমারের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। যন্ত্রপাতি কেনার নামে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ডা. তাপস কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ডা. তাপস কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়। একই সাথে দুর্নীতির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় কেন বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট (এইচএসএম) অপারেশন প্ল্যানে আরপিএ (জিওবি) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ছাড়কৃত ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার অনিয়ম হয়েছে। যন্ত্রপাতি কেনার নামে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট করেছেন মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার। এমএসআর সামগ্রী ও ভারী যন্ত্রপাতি কেনার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক ডা. তাপস কুমার। বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, যেহেতু আপনার বিরুদ্ধে উল্লেখিত কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) অনুযায়ী দুর্নীতি হিসেবে গণ্য। সেহেতু দুর্নীতির দায়ে আপনাকে অভিযুক্ত করা হলো।

একই সাথে আপনাকে ওই বিধিমালার অধীনে কেন যথোপযুক্ত দন্ড দেয়া হবে না- নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হলো। পাশাপাশি আপনি ব্যক্তিগত শুনানি চান কি-না তা জানাতেও নির্দেশ দেয়া হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, এ মর্মে আমি নোটিশ পেয়েছি। আমি আমার মতো করে নোটিশের জবাব দিয়েছি। বাকিটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখবে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুন নাহার বেগম বলেন, শুধু আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নন, যন্ত্রপাতি কেনায় জড়িত ঠিকাদারসহ আরও চারজনকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি এ ব্যাপারে তদন্ত করে গেছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার চার বছরের বেশি সময় ধরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। কয়েক দফায় প্রমোশন হলেও তা গ্রহণ না করে আরএমওর চেয়ারে বসে আছেন।


আরো সংবাদ



premium cement