২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সিজারের সময় শিশুর মাথা কেটে ফেললেন চিকিৎসক

সিজারের সময় শিশুর মাথা কেঁটে ফেললেন চিকিৎসক - ছবি : সংগৃহীত

যশোর জেলার শার্শার বাগআঁচড়া ৭ মাইল এলাকার ‘জোহরা মেডিকেল সেন্টারে ’ সিজার করতে যেয়ে শিশু হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বিলম্বে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত রোববার বিকালে উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের হাসানের স্ত্রীকে ওই ক্লিনিকে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের সময় অসতর্কতা বশত প্রসূতির গর্ভের শিশুর মাথা কেটে যায় এবং সে মারা যায়।

এ ঘটনায় হাসানের বড় ভাই মাসুদুর রহমান বলেন, জোহরা ক্লিনিকের ডাক্তার হাবিবুর রহমান একজন সরকারী ডাক্তার। সে সাতক্ষীরা হাসপাতালে চাকুরী করেন। তাড়াহুড়ার মধ্যে সে এই অপারেশন করে শিশুটির মাথা কেটে ফেলে। এতে ওই শিশুটি মারা যায়। এ ব্যাপারে ডাক্তার হাবিব ও তার স্ত্রী আমাদের টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করতে চেয়েছিল কিন্তু আমরা রাজী হয়নি।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, ডাক্তার হাবিবুর রহমান ওই দিন ১১টি সিজার করে। যার ফলে একাই অপারেশন এর দায়িত্ব নেয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্রটি দাবি করে বলে জোহরা ক্লিনিকে ৪০ টির মত বেড রয়েছে। তবে অনুমোদন নেয়া আছে মাত্র ২০ টি বেডের। এছাড়া এই চিকিৎসক দম্পত্তি সরকারী হাসপাতালে চাকুরী করেন। এরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে নিজ ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

এর আগে গত দুই মাস আগে ওই ক্লিনিকে একটি সিজার করার সময় একই ঘটনা ঘটে। পরে সেই যাত্রা টাকা পয়সার বিনিময় রেহাই পায় বলে সুত্র জানায়। এ ব্যাপারে ডাক্তার হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন গত রোববার একটি বাচ্চা তার মাতৃগর্ভে মারা যায়। তবে অস্ত্র পচার এর সময় মারা গেছে বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। তার হাসপাতালের বেড অনুমোদন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ২০ টি বেডের অনুমোদন এর কথা শিকার করেন।

হাবিবুর রহমান এর স্ত্রী নাজমুন নাহার এর কাছে কতটা বেড আছে রোগিদের জন্য, জানতে চাইলে তিনি রাগাম্বিত হয়ে বলেন আমি কি গুনে রেখেছি। স্থানীয়রা জানায়, নাজমুন নাহার রানী বাগআঁচড়া সরকারী হেলথ হাসপাতালে চাকুরী করেন। তিনি হাসপাতালে কোনো সময় ডিউটি করেন না। তার একজন সহকারী দাতের ডাক্তার মতিয়ার রহমান সব কিছু ম্যানেজ করেন। এমনকি হাজিরা খাতাও হাসপাতালে এনে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে যান। স্থানীয় সচেতন মহল বলেন ৪০টি বেড থাকলে কমপক্ষে ৪ জন ডাক্তার থাকার কথা । সেখানে ডাক্তার আছে মাত্র দুই জন। তাও তারা স্বামী-স্ত্রী। দুইজনই সরকারী হাসপাতালে চাকুরী করেন।

এদিকে বেনাপোল রজনী ক্লিনিকে সিজার বাণিজ্যের কারণে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী অপচিকিৎসার প্রতিবাদ জানিয়ে, ক্লিনিক বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ করেছেন। পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে। বুধবার(১৩ নভেম্বর) রাত ৮ টায় সিজারের পর পরই অবহেলার কারনে এ নবজাতকের মৃত্যু হয়। নিহত নবজাতক বেনাপোল পৌরসভার নারানপুর গ্রামের নাজমা বেগমের ছেলে।

এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এ রকম কোন অভিযোগ কাছে আসে নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ময়মনসিংহে বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত রমজানের প্রথমার্ধে ওমরাহ পালন করলেন ৮০ লাখ মুসল্লি পোরশায় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক লাশ ফেরত গণতন্ত্রের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত, এতে আমরা বিজয়ী হবো : মির্জা ফখরুল নিঝুমদ্বীপে পুকুরে পাওয়া গেল ১০ কেজি ইলিশ ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ১৫ ফেরি ও ২০ লঞ্চ দি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের রক্তদাতাদের সংবর্ধনা প্রদান কক্সবাজারে ওরিয়ন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৈয়দপুরে ফেসবুক লাইভে থেকে যুবকের আত্মহত্যা! মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেফতার ৫ ১৫ বছর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

সকল