২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বেনাপোল কাস্টস হাউজ থেকে ১৯ কেজি স্বর্ণ চুরি

- সংগৃহীত

বেনাপোল কাস্টস হাউসের নিরাপদ গোপনীয় ভল্ট ভেঙে ১৯ কেজি ৩৮০ গ্রাম স্বর্ণ চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। বিভিন্ন সূত্র ডলারসহ মূল্যবান পণ্য-সামগ্রী চুরির দাবি করলেও শুধুমাত্র স্বর্ণ চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাতে বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।

এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভল্ট ইনচার্জসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শনিবার অফিস করার পর রবিবার ঈদে মিলাদুন্নবীর সরকারি ছুটি থাকায় কেউ অফিসে ছিলেন না। সোমবার সকালে অফিস খুললে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। তবে কী পরিমাণ মালামাল খোয়া গেছে তাৎক্ষণিক কাস্টমের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

সূত্র আরও জানায়, কাস্টম হাউজের পুরনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় গোপনীয় একটি কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করে লোহার ভল্ট ভেঙে মূল্যবান বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, ডলার ও টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেই কক্ষে প্রবেশ করার আগে সংঘবদ্ধ চক্র সিসি ক্যামেরার সবগুলো সংযোগ কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

ভল্টে কাস্টম, কাস্টম শুল্ক গোয়েন্দা, বিজিবি ও পুলিশের উদ্ধার করা সোনা, বিভিন্ন দেশের মুদ্রাসহ মূল্যবান দলিলাদি ছিল।

সূত্র জানায়, সোমবার সকালে ওই ভল্টের তালা ভাঙা দেখে চুরি হয়েছে বলে আশঙ্কা করেন কাস্টম কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে কাস্টমের কর্মকর্তাসহ আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। বিকাল ৫টায় ডিবি, সিআইডি, পিবিআই, র‌্যাব ও বেনাপোল পোর্ট থানার কর্মকর্তারা এসে হাত-পায়ের ছাপ নির্ণয় করেন। এ সময় বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসপি তৌহিদুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর সৈয়দ মামুন হোসেন, র‌্যাব জেলা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, আতিকুর রহমান, জিএম আশরাফ, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তারা যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, ‘বেনাপোল কাস্টমের গুদামে বিকল্প চাবি ব্যবহার করে চুরির ঘটনা ঘটেছে। লকারে বিপুল স্বর্ণ ছিল বলে জেনেছি। এখানে পুলিশ সুপার মঈনুল হকসহ সিআইডি ও পিবিআই কর্মকর্তারা তদন্ত কাজ চালাচ্ছেন।’

বেনাপোল কাস্টস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, কাস্টমের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি, ভায়াগ্রা চক্রের অপতৎপরতা ও কাস্টমস কমিশনারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য একটি চক্র এ কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারে। 

ভল্ট ইনচার্জ সাহাবুল সরদারসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার মেলানো হচ্ছে। এ ঘটনায় কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো: শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। সূত্র : ইউএনবি।


আরো সংবাদ



premium cement