২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

এখনো 'ব্যাটার' ফোনের অপেক্ষায় থাকেন আবরারের মা

এখনো 'ব্যাটার' ফোনের অপেক্ষায় থাকেন আবরারের মা - ছবি : সংগ্রহ

বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নিহতের ঘটনার এক মাস ছিল বৃহস্পতিবার। প্রতি দিন আবরার তার মায়ের সাথে একাধিকবার ফোনে কথা বলে মায়ের খবর নিত। কিন্তু আবরারের মা এখন তার 'ব্যাটার' ফোন পান না। আদরের সন্তান আবরারের মৃত্যুর এক মাস পার হলেও সেই ফোন আর আসে না আর কথা বলাও হয় না তার মায়ের।

কুষ্টিয়ার বাড়িতে আবরারের পরিবারের মাঝে এখন চলছে শোক। পুরো পরিবারটি মেধাবী সন্তানের অভাবে কেমন যেন শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানালেন আবরারের মা। প্রিয় সন্তানের খোঁজে এদিক সেদিক তাকিয়ে থাকেন। কিন্তু আবরারের দেখা পান না। ফলে সবসময় অস্থিরতায় দিন কাটান।

বৃহস্পতিবার আবরারের বাড়িতে যেয়ে দেখা গেলে ভিন্ন চিত্র। আবরারের পিতা বরকতউল্লাহ সকালে নিয়মত চাকরির স্থানে চলে যান। মা স্থানীয় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করলেও আবরারের মারা যাওয়ার পর সেখানে আর সব দিনে যেতে পারছেন না। ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হলেও সেখানে নিয়মিত যাওয়া হচ্ছে না।
যে আবরার ছিল পরিবারের স্বপ্ন, আজ সে আবরার যখন নেই. তখন এই পরিবারটির সব কিছুই যেন এলোমেলো হয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে আবরারের বুয়েটের রুম থেকে তার মালামাল কুষ্টিয়ার বাসায় আনা হয়েছে। ছুটিতে আসার সময় আবরারের সর্বশেষ কেনা ২টি শার্ট রয়েছে যার একটি ফাইয়াজের জন্য নিয়েছিল, কিন্তু সেই জামা এখন ফাইয়াজের পরা হয়নি। ভাইয়ের স্মৃতি রেখে দেয়ার জন্য জামাটি হয়তো সে আর পরবে না।

এদিকে আবরার হত্যার মামলার এখন কয়েক আসামিকে গ্রেফতার না করে মামলার চার্জশিট দেয়ার প্রস্তুতির খবরে আবরারের পিতা-মাতা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের দাবি মামলার সব আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করে পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট প্রদান করতে হবে। আশপাশের মানুষেরা এখন আবরারের প্রতিবেশী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। এলাকাবাসীর সহানুভূতি ও ভালোবাসায় আবরারের পরিবারের সকলেই সন্তুষ্ট বলে জানালেন তার পরিবার সদস্যরা।


আরো সংবাদ



premium cement