১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অসময়ে মধুমতীর তীব্র ভাঙনে দিশেহারা মানুষ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় অসময়ে মধুমতী নদীর পানি অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ভাঙনের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করায় ৭ গ্রামের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি। জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা করেও থামানো যাচ্ছেনা নদী ভাঙন।

ক্ষতিগ্রস্থরা বলছেন, ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা কম। যা ফেলা হচ্ছে নদীতে তীব্র স্রােত থাকায় তার সুফল মিলছে না। এভাবে নদী ভাঙন চলতে থাকলে উপজেলার হরেকৃষ্ণপুর, মহেষপুর, আড়মাঝি, রায়পুর, রুইজানি, ভোলানাথপুর ও ঝামা গ্রাম মানচিত্র থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাবে।

সরেজমিনে নদী ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লোকজন দ্রুত কাঁচা, পাকা বাড়ি ঘরসহ প্রয়োজনীয় মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। বিক্রি করে দিচ্ছেন গাছপালা। চোখের সামনে ভিটেবাড়ি মধুমতিতে বিলীন হয়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। দিশেহারা হয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন তারা। খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী বসবাসকারী মানুষ।

জানা গেছে, নদীর ভাঙন ঠেকাতে হরেকৃষ্ণপুর এলাকায় ৩০০ মিটার ও ঝামা এলাকায় ১০০ মিটার পর্যন্ত ১৭৫ কেজি ওজনের বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এর বাইরেও আরো ৬০০ মিটার এলাকা রয়েছে তীব্র ভাঙন কবলিত। প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় এসব এলাকার নদীতীরবর্তী বসবাসকারী মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। প্রতিদিনই গৃহহীন হচ্ছেন একের পর এক পরিবার। আশঙ্কা দেখা দিয়েছি প্রাণহানীর।

নদী তীরবর্তী বাসিন্দা জামাল শেখ বলেন, যেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে তার বাইরেও কয়েক জায়গায় ভয়াবহ ভাঙন রয়েছে। আমরা সেখানে বাস করি। রাতে ঘুম আসে না, কখন যে নদীগর্ভে ঘর বাড়ি বিলীন হয়ে যায় এ ভয়ে। ভাঙন কবলিত সব জায়গুলো যদি জিও ব্যাগ ফেলা যায় তবে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব। এসব জায়গাগুলোও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অ: দা:) সফিউল ইসলাম জানান, সঠিক সময়ে জিও ব্যাগ না ফেলায় নদী ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হয়নি। তবে ভাঙন ঠেকাতে ৪০০ মিটার এলাকায় কাজ চলছে। এগুলো যদি টিকে যায়, তবে এর বাইরেও যেসব ভাঙন কবলিত এলাকার জন্য জিও ব্যাগ বরাদ্দ হয়নি সেসব এলাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এমপি মহোদয় যদি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান, তাহলে বরাদ্দের পরিমান বাড়ানো সম্ভব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসিফুর রহমান বলেন, “ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।”


আরো সংবাদ



premium cement
মোরেলগঞ্জে সৎভাইকে কুপিয়ে হত্যা দুবাই পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণ কি কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো? এ দেশের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : ডাঃ শফিকুর রহমান পিছিয়েছে ডি মারিয়ার বাংলাদেশে আসার সময় ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান

সকল