১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বউভাত হয়ে গেলো বরভাত

বউভাত হয়ে গেলো বরভাত - ছবি : সংগৃহীত

শতাধিক কনেযাত্রী বরের বাড়ি গিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন শনিবার। এই ঘটনা গণমাধ্যমে আসার পর বেশ আলোড়ন তৈরী হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার ঘটলো আরো একটি ব্যাতিক্রমী ঘটনা। ‘বউভাত’র পরিবর্তে হয়েছে ‘বরভাত’। প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গে নিজেদের বিয়েকে একটু আলোচনায় আনতেই খাদিজা ও তরিকুলের এই উদ্যোগ।

রোববার ‘বরভাতের’ এ অনুষ্ঠান হয়েছে খাদিজা আক্তারের বাড়ি—চুয়াডাঙ্গা সদরের হাজরাহাটি গ্রামে। এ বিষয়ে বর তরিকুল বলেন, বিয়ের ঘটনা সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ‘বরভাতের’ অনুষ্ঠানেও অনেক মানুষ যোগ দিয়েছেন। তারা এই ধরণের বিয়েকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।

খাদিজার বাবা কামরুজ্জামান বলেন, ‘মেয়ের বিয়ের ঘটনা এখন সবার মুখে মুখে। এই কারণে সকাল থেকেই এলাকার মানুষ ভিড় করেছে বরকে এক নজর দেখার জন্য। মেয়ের বিয়েতে সবকিছুই উল্টো করা হচ্ছে। অনেকে এতে বেশ মজা পেলেও বেশ কিছু মানুষ সমালোচনাও করছে।

নববধূ খাদিজা আক্তার বলেন, ভিন্ন ধরনের বিয়েতে আরও একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে এই ‘বরভাতের’ আয়োজন। ‘বরভাতের’ অনুষ্ঠানে অনেকে এসে তাদের দোয়া করছেন।

তরিকুলের বাবা আবদুল মাবুদ বলেন, অনেক সমালোচনা সহ্য করে ওই রকম একটি বিয়ে দিতে হয়েছে। বিয়েতে সব চেয়ে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন খাদিজা। ‘বরভাতের’ অনুষ্ঠানও খাদিজা-তরিকুলের ইচ্ছাতে হয়েছে। নারী-পুরুষ সমতা তৈরিতে খাদিজা-তরিকুলের বিয়ে সমাজে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।

জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বিয়ের ঘটনাটি ফেসবুক ও গণমাধ্যমে দেখেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, খাদিজা-তরিকুলের বিয়েটি নারী মর্যাদার লড়াইয়ে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। আগামী দিনে অনেকে তাদের মতো বিয়ে করতে চাইবে। সমাজে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা পাবে।


আরো সংবাদ



premium cement