২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ফুড ফ্লেভারের পরিবর্তে এসেছে ভায়াগ্রা!

মাদক
মিথ্যা ঘোষণায় আনা হয়েছে ভায়াগ্রা - ছবি: সংগৃহীত

ভারত থেকে ফুড ফ্লেভার আমদানীর আড়ালে এসেছে এক ট্রাক শাড়ি, থ্রীপিচ ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ভায়াগ্রার উপাদান। এসব মালামালসহ ট্রাকটি জব্দ করেছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বেনাপোল বন্দর থেকে জব্দকৃত পণ্য চালানটির আজ বুধবার দুপুরে পুনঃ পরীক্ষা হয়েছে বেনাপোল কাস্টম হাউসে।

জানা যায়, পণ্য চালানটির আমদানীকারক ঢাকার রেড গ্রীন ইন্টারন্যাশনাল। যার বিল অব এন্ট্রি নং সি-২৫৫৭৭, তাং-১৩.৪.১৯। পণ্য চালানটির আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান গত ২ এপ্রিল ২০১৯ একটি এলসি খোলেন। যার এলসি নং-২৯৬৬১৯০১০০৩৬। পণ্য চালানটির প্যাকিং লিস্টে আমদানি করা হয় ২৫ কার্টনে মাত্র ৫০০ কেজি ফুড ফ্লেভার। কিন্তু পণ্য চালানটি জব্দ করার পর ওই ট্রাকটি থেকে ২০০ কেজি ভায়াগ্রাসহ বিপুল পরিমাণ রেডিমেট গার্মেন্টসসহ শাড়ি, থ্রীপিচ পাওয়া যায়।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ইনভেস্টিগেশন রিসার্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল জব্দকৃত মালামাল পরিক্ষণ করে আজ বুধবার রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্টে বলা হয়, এ থেকে কয়েক লাখ টাকা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছিল বলে জানায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্য চালানটিতে আমদানীকৃত পণ্যের ঘোষণায় ছিলো শুধু ফুড ফ্লেভার।

প্রথমে কাস্টমস পরীক্ষণ প্রতিনিধি দল ২০০ কেজি কেমিকেল বলে উল্লেখ করলেও তা খুলনার কুয়েট থেকে পরীক্ষণের পর তার প্রমাণ মেলে উক্ত ২০০ কেজি কেমিকেলই আমদানী নিষিদ্ধ সিলডেনাফিল সাইট্রেট (ভায়াগ্রার মূল উপাদান)।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, গোপন সূত্রে সংবাদ পাওয়া যায় একজন আমদানীকারক ভারত থেকে ঘোষণার আড়ালে ভিন্ন একটি পণ্য চালান বেনাপোল বন্দরে নিয়ে আসছেন। এমন সংবাদে কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান বন্দরের সেড এলাকা থেকে গতকাল মঙ্গলবার পণ্য বোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করে (যার নং ঢাকা মেট্রো ট-১৩-৬৫৪১)। পরে কাভার্ড ভ্যানটি কাস্টম হাউসে নিয়ে আসা হয়। মালামাল পরীক্ষণ করা হয়েছে। পরীক্ষণে ঘোষণার আড়ালে অন্য পণ্য পাওয়া গেছে, যা থেকে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। পণ্য চালাানটির সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল মেসার্স আহাদ এন্টারপ্রাইজ।

এ ব্যাপারে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মালিক মেসার্স আহাদ এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষ জানায়, কাস্টমস কর্তৃক জব্দকৃত মালামাল সম্পর্কে তাদের কাছে সঠিক কোনো তথ্য নেই। তবে ওই গাড়িতে তার আমদানীকারকের ৫০০ কেজি ফুড ফ্লেভার ছিল। অন্য সব মালের কোনো তথ্য তাদের জানা নেই।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতেই চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বেনাপোল কাস্টম হাউসের ইনভেস্টিগেশন রিসার্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সহকারী কমিশনার মো: আকরাম হোসেনকে।


আরো সংবাদ



premium cement