২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
কুরবানির গরু

‘পালসার বাবু’কে দেখতে শত শত মানুষ ভীড় (ভিডিও)

- ছবি : নয়া দিগন্ত

প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ ভিড় করছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ইত্যা গ্রামের মনোয়ারা বেগমের বাড়িতে। গরুটি ‘হলেস্টিয়ান’ জাতের হলের নাম দিয়েছেন পালসার বাবু। মনোয়ারার নাতি জিসান বাবুর নামে সাথে মিলে রেখে এ নাম রাখা হয়েছে। ‘পালসার বাবু’র দৈর্ঘ সাড়ে ১০ ফুট, উচ্চতা ৬ ফুট। গায়ের রং কালচে। ওজন প্রায় ১৪ শত কেজি বলে জানান গরুর মালিক ইয়াহিয়া। তাই ‘পালসার বাবু’কে দেখার জন্য ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।

মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘পালসার বাবু’ নামেই তাকে ডাকেন সবাই। সে আমার ভাষা বোঝে। উঠতে বললে উঠে দাঁড়ায়, সামনে, পিছনে সরতে বললে সে সরে দাঁড়ায়। সে আমার কথা শোনে। ষাঁড়টির বর্তমান ১২ লাখ টাকা দাম হচ্ছে। তবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করছেন এ দম্পতি।

জানা গেছে, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ইত্যা গ্রামের গরু ব্যবসায়ী ইয়াহিয়া মোল্যা। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম শখ করে ষাঁড়টি পুষছেন। তিন বছর ধরে পোষা পশুটিকে এবারের কোরবানিতে বিক্রি করতে চান।

লোকমুখে ‘পালসার বাবু’র কথা শুনে ষাঁড়টিকে দেখতে ইয়াহিয়ার বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। স্থানীয়রা তো বটেই, প্রতিদিনই খুলনা,পাইকগাছা, শার্শা, ঝিনাইদহ, যশোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ‘পালসার বাবু’কে দেখার জন্য ভিড় করছেন মানুষ।

‘পালসার বাবু’কে দেখতে আসা মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা গ্রামের মান্নান বলেন, লোকের মুখে শুনে আইছি। এতবড় গরু জীবনে এই প্রথম দেখলাম।

গরু দেখতে আসা ইব্রাহিম, মনির, আয়শা বলেন, গরুটা অনেক বড়। ক্রেতারা টাকার দিকে দেখবেন না, চেহারা দেখেই গরুটিকে কিনবেন।

ইয়াহিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, গত দশ দিন ধরে মানুষের ভিড় বেড়েছে। সকাল-বিকেল উঠানে লোক ভরে যায়।

ইয়াহিয়া বলেন, আমি ছোটখাটো ব্যবসায়ী। বছর তিনেক আগে ‘হলেস্টিয়ান’ জাতের এই গরুটা কেনা। শখ করে ওর নাম দিয়েছি ‘পালসার বাবু’। গত বছর এর দাম সাড়ে পাঁচ লাখ উঠলেও বিক্রি করিনি। কিছুদিন আগে ঢাকার এক ক্রেতা ১২ লাখ দাম বলেছে। তবে আমি এর জন্য চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা।

ইয়াহিয়া জানান, ‘‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো পরামর্শ ছাড়াই এটি আমি পুষছি। ছয় কাঠা জমিতে ঘাস লাগানো আছে। সেই ঘাস, খৈল ও ভুষি খাইয়ে একে এত বড় করেছি।

তিনি বলেন, কোন প্রকার ঔষুধ গরুকে খাওনো হয়নি। কারণ ঔষুধ খাওয়ালে গরম সহ্য করতে পারে না। আর আমি গরিব মানুষ। গোয়াল ঘরে ফ্যান নাই, মশারি নাই যদি গরুটি কোন সমস্যায় হয় এ ভয়ে মোটাজাতা করণের জন্য কোন ঔষুধ খাওয়াই না।

এ বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী বলেন, কাশিমনগর ইউনিয়নে একটা বড় গরু আছে শুনেছি।


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত

সকল