২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জীবননগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলে নিহত, আহত ৩

-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা পৌর শহরের দৌলৎগঞ্জে নিজবাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তাদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে পরিবারেরর তিন সদস্য মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন। আহতদেরকে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি আজ শুক্রবার ভোরে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্র জানান, জীবননগর পৌর এলাকার দৌলৎগঞ্জের ছমির উদ্দিন বাড়ের পরিবারের সদস্যরা প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে যার যার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে শুক্রবার ভোরের দিকে ছমির উদ্দিনের বাড়িতে হৈ-চৈ শোনা যায় এবং প্রতিবেশীরা সেখানে ছুটে গিয়ে দেখতে পান যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছমির উদ্দিনের স্ত্রী আশুরা খাতুন (৫৩) ও ছেলে ওমর আলী (২৬) মারা গেছেন। এ সময় তাদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছমির উদ্দিন (৬৫) ও তার দুই পুত্রবধূ কাকুলী খাতুন (২৫) এবং রুবিনা খাতুন (২১) মারাত্মক ভাবে আহত হন। আহতদের প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আহত ছমির উদ্দিনের বড় ছেলে আব্দুর কাদের বলেন, আমরা পরিবারের সকল সদস্যরা বৃহস্পতিবার খাওয়া-দাওয়া শেষে যার যার ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। শুক্রবার ভোরের দিকে আমার স্ত্রী রুবিনা খাতুন (২২) টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়। এ সময় তার আর্তচিৎকার শুনে আমাদের সবার ঘুম ভেঙে যায়। এরপর দেখতে পাই যে আমার স্ত্রী বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। এসময় আমার মা আশুরা খাতুন ও ছোট ভাই ওমর আলী আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত মা ও ভাইকে উদ্ধার করতে গিয়ে আমার বাবা ছমির উদ্দিন, আমার ভাই ওমর আলীর স্ত্রী কাকুলী খাতুনও মারাত্মক ভাবে আহত হয়।

পৌরসভার সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোয়েব আহমেদ অঞ্জন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খোঁজখবর নিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি শুক্রবার ভোরের দিকে আব্দুল কাদেরের স্ত্রী রুবিনা খাতুন একটি বৈদ্যুতিক তারে জড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরবর্তীতে তাকে রক্ষা করতে গিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরাও আহত এবং নিহত হন। ঘটনাটি মর্মান্তিক এবং এমন ঘটনা ইতিপূর্বে আমাদের এলাকায় ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই।

এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ঘটনার ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হয়েছে। ঘটনাটি মর্মান্তিক। এ ঘটনায় কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল শেষে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং শোকাহত পরিবারকে সান্ত¡না দেন।


আরো সংবাদ



premium cement