ব্যাংক থেকে ৯৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক
- মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
- ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৩৯
ছেলে থাকেন মালয়েশিয়া। প্রতিমাসে প্রবাসে কষ্টার্জিত টাকা এই টাকা সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিজের বাবার কাছে পাঠান তিনি। বুধবারও নিজের পরিবারের জন্য ৯৪ হাজার টাকা পাঠান তিনি। প্রবাসী ছেলের বাবা ব্যাংকে এসেছিলেনও সেই টাকা তুলতে। কিন্তু নিজের হাতে টাকা নেয়ার আগে ব্যাংকের মধ্যেই তা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার সোনালী ব্যাংকের শাখায়।
জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার সোনালী ব্যাংক মহেশপুর শাখায় এক প্রবাসী তার পিতার একাউন্টে ৯৪হাজার টাকা পাঠান। লেখাপড়া না জানায় পিতা সেই টাকা তুলতে এসে পড়েন এক প্রতারকের খপ্পরে। এরপর তাকে ব্যাংকে আধা ঘণ্টা বসিয়ে রেখে চেক দিয়ে সমুদয় টাকা তুলে পালিয়ে যায় ওই প্রতারক। শেষে টাকা হারিয়ে কোনো উপায় না পেয়ে ওই পিতা থানায় একটি জিডি দায়ের করেছেন।
ভূক্তভোগী পিতার নাম আব্দুল মালেক। তার বাড়ি মহেশপুর উপজেলার ঘুগরী গ্রামে। আব্দুল মালেক জানান, তিনি পড়ালেখা জানেন না। ৮ মাস পূর্বে ছেলে জাহিদুল ইসলামকে মালোয়েশিয়া পাঠিয়েছেন। ছেলে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে একদফা ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। এবার টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছেলে ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন, তাই মহেশপুর উপজেলা শহরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের শাখায় নিজ নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। সেই টাকা তুলতে গিয়ে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, বুধবার সকালে ব্যাংকে এসে এক কর্মকর্তার নিকট একটি চেক দেন। তিনি চেকে একটি স্বাক্ষর নিয়ে আরেকজনকে দেখিয়ে দেন। এ সময় তিনি অপর কর্মকর্তার কাছে যাবার পথে অন্য একজন এসে চেকটি নিয়ে ম্যানেজারের টেবিলে দেন। তিনি তাকে ব্যাংকের কর্মকর্তা ভেবে প্রতারকের কাছে চেকটি দেন এবং সেই ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গে থাকেন।
ব্যাংক ম্যানেজার চেকের ওপর স্বাক্ষর করে আমার উপস্থিতিতে প্রতারক ব্যক্তিটির হাতে চেকটি ফেরত দেন। প্রতারক ওই ব্যক্তি চেকটি ক্যাশ কাউন্টারে জমা দেন এবং আমাকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলেন। আমি তার কথা মত অপেক্ষা করতে থাকি আর লোকটি ব্যাংকের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন।
এভাবে আধাঘণ্টা অপেক্ষার পর লোকটি সামনে থেকে হারিয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারি ওই লোকটি তার চেকের ৯৪ হাজার ৮৪ টাকা তুলে নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে তিনি এ বিষয়ে থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি দুঃখ করে বলেন, এই টাকা না পেলে তিনি ছেলেকে কি জবাব দেবেন।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানার এএসআই সিরাজুল ইসলাম জানান, থানায় জিডি হয়েছে। ব্যাংকে থাকা সিসিটিভি’র ছবি দেখে প্রতারক সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। থানায় জিডি হয়েছে। ব্যাংকে থাকা সিসিটিভি’র ছবি দেখে প্রতারক সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা