ভিক্ষুক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা ভিক্ষুক স্বামীর
- দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদাতা
- ২১ মার্চ ২০১৯, ১৪:৫৮
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তার স্বামী। নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার বড় বোয়ালিয়া গ্রামে। পুলিশ বুধবার মধ্যরাতে ঘটনাস্থল থেকে নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে। তারা উভয়ে ভিক্ষা করে সংসার চালাতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার রাত ১০টার দিকে ইবাদত আলী তার স্ত্রী জাহানারা খাতুনকে নিজ বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর তিনি নিজে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশ দুটি ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মতিয়ার রহমান জানান, ইবাদত হোসেন ও জাহানারা দম্পতি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালাতো। পারিবারিক কলহের কারণে ওই দম্পতি মাঝে মধ্যেই ঝগড়ায় লিপ্ত হতো। কিন্তু সেই বিরোধের যে শেষ পর্যন্ত এমন পরিণতি হবে তা ভাবতেও পারেনি।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কলিমুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, স্থানীয়দের বর্ণনা মতে পারিবারিক বিরোধের কারণেই ইবাদত হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে আমরা অনুসন্ধান করবো।
আরো পড়ুন : লাকসামে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
লাকসাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা, ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
লাকসামে বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলা কাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার লাকসাম থানা পুলিশ ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ওই দম্পতি হলো- সালেপুর গ্রামের মুন্সী হেদায়েত উল্লাহর ছেলে ছফিউল্লাহ (৪০) ও তার স্ত্রী রাবেয়া (২৮)। নিহত দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার সালেপুর গ্রামে নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে কোনো একসময় পারিবারিক কলহের জেরে প্রথমে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামী নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের সময় ওই দম্পতির চার বছর বয়সী মেয়ে সাইফা ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকলেও বড় ছেলে চট্টগ্রাম ও বড় মেয়ে নানার বাড়িতে ছিল।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোজ কুমার দে জানান, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। ওই দম্পতির বসতঘরের ভেতর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা