২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঝিনাইদহে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার

মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার
মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার - ছবি : নয়া দিগন্ত

ইউএসআইডি’র সহায়তায় আবাদকৃত পাইওনিয়ার ব্রান্ডের ভুট্টা ক্ষেত পরিদর্শন করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। তিনি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের গৌরিনাথপুর গ্রামের মাঠে একটি ভুট্টা ক্ষেত পরিদর্শন করেন। এ সময় ইউএসআইডি’র ও পেট্রোকেম লিঃ এর কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় রবার্ট মিলার মহেশপুরের গৌরিনাথপুর গ্রামের মাঠে এসে পৌঁছান। প্রথমে তিনি ওই গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলামের ক্ষেত পরিদর্শন করেন। এরপর ক্ষেতের পাশে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কৃষকদের সাথে চাষাবাদ নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান, মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বতী শীল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু তালহাসহ অন্যান্য কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মহেশপুর উপজেলায় এ বছর ৭৩৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। মূলত ইউএসআইডি’র সহায়তায় আবাদকৃত ভুট্টা ক্ষেত দেখতেই ছুটে এসেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ড মিলার।

 

আরো দেখুন : বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ভূঞাপুরের চরে ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ
আলীম আকন্দ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল); ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে ভুট্টা চাষ হচ্ছে। আগের বছরগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর এখানে এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হচ্ছে। উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার আংশিক এলাকায় এ ভুট্টা চাষ হচ্ছে। এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। পুরো চরাঞ্চলজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে ভুট্টার উঠতি চারা। ঝিলমিল করে বাতাসে দোলছে ভুট্টার সবুজপাতা।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার গাবসারা, গোবিন্দসী, নিকরাইল ও অর্জুনা ইউনিয়নের বেশির ভাগ প্রান্তিক চাষি ভুট্টা চাষ করছেন। কারণ অন্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষ লাভজনক। এতে খরচ কম, ফলন বেশি। পানি সেচও তেমন বেশি দিতে হয় না। এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করলে ১৫ থেকে ২০ মণ ধান হয়। অপর দিকে এক বিঘা জমিতে ভুট্টা হয় ৩০ থেকে ৩৫ মণ। দামেও তেমন পার্থক্য নেই। কীটনাশক ও সারের ব্যবহারও কম লাগে। অন্যান্য রবিশস্যের চেয়ে ভুট্টার ফলন বেশি। তা ছাড়া সহজে আবাদযোগ্য হওয়ায় ভুট্টা চাষে কৃষকেরা বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। ভুট্টার আখ গোখাদ্য আর ডাটা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। 

রেহাই গাবসারা চরের কৃষক আলম মিয়া জানান, তিনি গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। এ বছর বিঘাপ্রতি ফলন ৩০ মণ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করেন তিনি।

চানগঞ্জ গ্রামের কৃষক হবি আকন্দ বলেন, আমাদের বাঁচতে হলে ভুট্টা চাষ ছাড়া উপায় নেই। কারণ অন্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষ খুবই লাভজনক। আর ভুট্টা চাষের জন্য কৃষি অফিস থেকে সময়মত সার-বীজ ও কীটনাশক পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, গত বছর এক হাজার ৭৭ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হচ্ছে। আমরা আশা করছি ফলনও এ বছর ভালো হবে। চরাঞ্চলের লোকেরা অন্য ফসলের চেয়ে ভুট্টাকে এখন প্রধান ফসল হিসেবে বেছে নিয়েছে। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সার্বিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement