২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘আন্দোলনের ডাক দেন, রাস্তায় গিয়ে মরি’

`আন্দোলনের ডাক দেন, রাস্তায় গিয়ে মরি’ - নয়া দিগন্ত

বিএনপি ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করে। বিপদের সময় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

রোববার সকালে যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নে হামলার শিকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি পরিদর্শন সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এ কথা বলে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের দুইদিন আগে বিএনপির এসব তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

সকালে জেলা বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদল নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির এ তিন নেতা প্রথমে যান সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে। সেখানে কচুয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য আমির হোসেনের বাড়িতে তারা কিছু সময় অতিবাহিত করেন ও বাড়ির সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এসময় পার্শ্ববর্তী নরেন্দ্রপুর, রামনগর, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরাও সেখানে হাজির হন।

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পেয়ে তৃণমূলের এসব নেতারা তাদের কষ্টের কথা বলতে থাকেন। কেন্দ্রের ব্যর্থতায় তৃণমূলে দীর্ঘ দিন ধরে জমতে থাকা ক্ষোভ ও প্রকাশ করতে থাকেন তারা।
কথা বলেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওলিয়ার রহমান, একই ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ, রামনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন প্রমুখ।

তারা বলেন, ‘খালেদা জিয়া কবে মুক্তি পাবেন? কী করছেন আপনারা? আন্দোলনে যাচ্ছেন না কেন? না খেয়ে পালিয়ে থাকতে থাকতে তো এমনিতেই মরতে বসেছি। আন্দোলনের ডাক দেন, রাস্তায় গিয়ে মরি। আন্দোলনে আমরা তো ব্যর্থ হইনি, আপনারা (কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশ করে) ব্যর্থ হয়েছেন’।

২৮ ডিসেম্বর রাতে হামলার ঘটনা বর্ণনা করার সময় বিএনপি নেতা আমির হোসেনের দুই ভাইয়ের স্ত্রী লিলুফা ইয়াসমিন ও পাপিয়া আক্তার বলেন, ‘আমাদের গ্রামের মহিলারা জীবনে কোনদিন গুলির শব্দ শুনিনি। ২৮ ডিসেম্বর রাতেই প্রথম শুনেছি। হামলা, ভাংচুর, নির্যাতন অনেক সহ্য করছি। আমাদের শুধু বলেন, আমাদের মা কবে মুক্তি পাবে’।

এখান থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা একই গ্রামের বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক খানের বাড়ি ও পরে লেবুতলা ইউয়নের এনায়েতপুর গ্রামের দাউদ হোসেনের বাড়িতে যান। এ দুই নেতার বাড়িতে ভাংচুরের স্থানগুলো পরিদর্শন ও বাড়ির সদস্যদের সাথে কথা বলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে বিকেলে জেলা বিএনপির কার্যলয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় থানা, পৌর ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় নেতারা বলেন , আন্দোলনের ডাক দেন, রাস্তায় গিয়ে মরি ঘরে বসে আর মরতে চাই না।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তবে কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করে। বিপদের সময় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সাথে আমরা কথা বললাম। তারা অনেক কিছুই বলেছেন। এসব কথার কোনটাই মূল্যহীন না। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেক কিছু চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়’।

তিনি বলেন, ‘তারপরও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কথাগুলো, ভাবনাগুলো আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতাদের অবহিত করবো’।


আরো সংবাদ



premium cement
হোচট খেল লিভারপুল, পিছিয়ে গেল শিরোপা দৌড়ে যোদ্ধাদের দেখতে প্রকাশ্যে এলেন হামাস নেতা সিনওয়ার! ফের পন্থ ঝড়, ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারাল দিল্লি ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরো বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে দুর্নীতি, পুতিনের নির্দেশে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী!  আমেরিকানরা কি ধর্ম থেকে সরে যাচ্ছে? গাজায় রিজার্ভ ব্রিগেড মোতায়েন ইসরাইলের উপজেলা নির্বাচন জটিলতা ভোটাধিকারের প্রতি মর্যাদা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধের ধারাবাহিক ধারা’ অনুসরণের অভিযোগ

সকল