২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যশোরে বিএনপি প্রার্থী অমিতের সমাবেশস্থলে হামলা

সমাবেশস্থলে ককটেল হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে বিএনপি প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে হালসা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় - নয়া দিগন্ত

যশোরে ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সমাবেশস্থলে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির ৮-১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের কয়েকজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার হালসা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার জন্য স্থানীয় যুবলীগ আশ্রিত সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছেন অমিত। ককটেল হামলার পর সন্ত্রাসীরা সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ভাঙচুর করে ও প্রচার মাইক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে বিএনপি প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে হালসা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন,‘সকালে আমার দেয়াড়া এলাকায় নির্বাচনী কর্মসূচি ছিল। সেখান থেকে আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে হালসা পেরিয়ে চৌগাছা সীমান্ত এলাকায় যাই গণসংযোগে। পরে হালসা বাজারে একটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু গণসংযোগকালেই খবর আসে, হালসা বাজারে আমার সমাবেশস্থলে হামলা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন,‘দ্রুত হালসা বাজারে ফিরে এসে দেখি সমাবেশস্থল লণ্ডভণ্ড। ককটেল হামলার আলামত রয়েছে। প্রচার মাইক ছিনিয়ে নিয়ে গেছে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা।’

অমিত অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জাফরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধানের শীষের সমাবেশস্থলে হামলা চালিয়েছে। তবে এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে যুবলীগের বক্তব্য জানা যায়নি।

এদিকে, অমিতের গাড়িবহরে থাকা সংবাদকর্মীরা বলছেন, সমাবেশস্থলে অন্তত দুটি ককটেল ছোড়া হয়। এর একটি বিস্ফোরিত হয়েছে। আর সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির ৮-১০ কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রে আহত কয়েকজনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন, জুয়েল, মহিদুল ইসলাম, তাজু হোসেন, দাউদ হোসেন, ইমামুল ইসলাম।

এদিকে, হামলার খবর পাওয়ামাত্র বিষয়টি কোতয়ালী পুলিশকে অবহিত করেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু। তবে, থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) সমীরকুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন,‘আমার কাছে এমন কোনো তথ্য নেই।’


আরো সংবাদ



premium cement