২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কুষ্টিয়ায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

প্রতীকি ছবি - সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বিপুল পরিমাণ মাদকও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাট এবং দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে এই দুইটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাছির উদ্দিন জানান, রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাটের মাদরাসাপাড়া জিকে ক্যানেলের পাশে দুইদল মাদক ব্যবসায়ী গোলাগুলি করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে জানান নাছির উদ্দিন।

পরে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি নাছির উদ্দিন আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ৮শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত মাদক ব্যবসায়ীর পরিচয় জানা যায়নি।

অপরদিকে দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বাঁধেরবাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে দুইদল মাদক ব্যবসায়ীর বন্দুকযুদ্ধের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসাপতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষাণা করেন। নিহতের নাম মদন (৪৫)। তিনি সীমান্ত সংলগ্ন জামাল গ্রামের রিফাজ উদ্দিনে ছেলে এবং দৌলতপুরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে দেড় ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ৯শ পিস ইয়াবা ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।

আরো পড়ুন: সরকারের কাছে সমস্যা সমাধানে একটিই উপায় হচ্ছে বন্দুকযুদ্ধ : সুলতানা কামাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, ০৩ জুন ২০১৮

বাপার সহসভাপতি মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে একটিই উপায় আছে, তা হচ্ছে ‘বন্দুকযুদ্ধ’। কারণ যখন দেশে সুশাসন ও জবাবদিহির চরম অভাব রয়েছে। যখন একটি দেশে সুশাসন ও জবাবদিহিতার চরম অভাব থাকে তখন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ জাতি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে।


পরিবেশ আন্দোলনকর্মী উত্তম হত্যার বিচার, সড়কপথে পরিবহন নৈরাজ্য ও মানুষ হত্যা বন্ধের দাবিতে গতকাল এক প্রতিবাদ সভায় সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন। জাতীয় জাদুঘরের সামনে ২৪টি নাগরিক সংগঠন এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। গত ২১ মে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে বাসচাপায় নিহত হন পরিবেশ আন্দোলনকর্মী বাপা’র ব্যবস্থাপক উত্তমকুমার দেবনাথ।


সুলতানা কামাল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ যেখানেই যাচ্ছে, মরিয়া হয়ে ছুটে যাচ্ছে। অন্যকে মাড়িয়ে কেন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এ অসুস্থ প্রতিযোগিতা? এর কারণ পুরো সমাজে অনাচার ঢুকে পড়েছে, যার খেসারত দিচ্ছি আমরা সবাই।


সুলতানা কামাল বলেন, দেশের মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই, সংবেদনশীলতা ভোঁতা হয়ে গেছে। যারা দেশ পরিচালনা করছেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে তাদের ভাবতে হবে।


বাপার সহসভাপতি রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীদের কান্না নীতিনির্ধারকদের কানে পৌঁছায় না। আমরা তাদের দেশ পরিচালনার অর্থ জোগান দিচ্ছি, তারা আমাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এ দেশের মানুষকে সোচ্চার হতে হবে।


বক্তারা বলেন, সড়ক পরিবহনব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। এ কাজে সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত তাঁরা।


সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, বাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হাবিব, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ প্রমুখ।


সমাবেশে উত্তমের পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণের পাশাপাশি ১৬টি দাবি জানিয়েছে ২৪টি সংগঠন। তারা বলেন, উত্তম দেবনাথ হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচার ও উত্তমের পরিবারের জন্য উপযুক্ত তিপূরণ প্রদান দিতে হবে। মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর যুগোপযোগী সংশোধনী আনা ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

পথচারী ও অযান্ত্রিক যানে নিরাপদে চলাচলের উপযোগী পরিবেশ তৈরিরও দাবি করেন তারা। উল্টোপথে গাড়ি চালানো বন্ধসহ যথাযথভাবে বিদ্যমান সড়কপথ পরিচালনা ও মেরামত করার দাবি করেন তারা।

তারা বলেন, পরিবহন মালিকদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং অপরাধের ভিত্তিতে শাস্তির বিধান চালু করতে হবে। পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে মালিকপ থেকে নিয়োগপত্র দে প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি উঠে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল