২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়

যুবদল-ছাত্রদলের সঙ্গে যা করল ছাত্রলীগ

যুবদল-ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় অস্ত্র হাতে যুবক। ছবি - নয়া দিগন্ত।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করে মিছিল- সমাবেশ করেছে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার রায়ে ১৯জনের মৃত্যুদণ্ড ও তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হলেও এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমানকে ফাঁসি দেয়া হয়নি। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ তার ফাঁসির দাবি জানান।

বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি, এমডিএ বাবুল রানা, কামরুজ্জামান জামাল, আক্তারুজ্জামান বাবু, শ্যামল সিংহ রায়, মুন্সী মো. মাহবুব আলম সোহাগ, মফিদুল ইসলাম টুটুল, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, শেখ আবু হানিফ, শফিকুর রহমান পলাশ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, পারভেজ হাওলাদার প্রমুখ। পরে তারেক রহমানের ফাঁসির দাবিতে নগরীতে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয় চত্বরে এসে শেষ হয়।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিবাদে সরকারি সিটি কলেজের সামনে থেকে জেলা যুবদল ও ছাত্রদল মিছিল বের করে। মিছিলটি পিটিআই মোড়ের দিকে যাওয়ার পথে মিছিলকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় যুবদল ও ছাত্রদলের ৭ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি শেখ কচি, সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, দপ্তর সম্পাদক জিএম রাসেল, যুবদল নেতা হেমায়েত রশিদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবাল।

জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক জিএম রাসেলের দাবি, তাদের মিছিলে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ লাঠিশোটা, রড ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে তাদেও ৭ নেতাকর্মী আহন হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

অপরদিকে, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল বলেন, যুবদল-ছাত্রদলের মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।

এছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দল নগরীতে মিছিল করেছে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড় থেকে মিছিল বের হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে চলে যায়। এদিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়কে ঘিরে নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ মহানগর ও জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়ক গতকাল বুধবার সকাল থেকে ছিল পুলিশের কড়া প্রহরায়। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তবে মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে পুলিশ দলীয় কার্যালয়ের সামনে যেতে দেন। তিনি দলীয় কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘ সময় একটি চেয়ারে একা একা বসেছিলেন।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর খুলনা মহানগরীতে কোন প্রকার অপ্রীতির ঘটনা ঘটেনি। নগরী পুলিশের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement