১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শিম চাষ

-

গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করে চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কম খরচে, অল্প সময়ে শিম চাষে লাভবান হওয়ায় এ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। তাই গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতি বছর চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে শিম চাষের পরিধি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, শিম চাষ লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় কৃষকরা অন্য ফসলের চেয়ে এ সবজি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন শিম বিক্রি হবে আয় হবে ৭০ কোটি টাকা।

গ্রীষ্মকালীন এ শিমের বীজ বপন করতে হয় বৈশাখ মাসে। বপনের ৪৫ দিন পর ফুল এবং তার ১৫ দিন পর শিম ধরে। আষাঢ় থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। শিম গাছ রোপণের আগেই কৃষকরা জমিতে মাচা তৈরি করে। গাছ বড় হলেই মাচায় শিম গাছ তুলে দেয়া হয়। গ্রীষ্মকালীন শিম চুয়াডাঙ্গা জেলায় চাহিদা মিটিয়ে কৃষকরা ঢাকা, ফরিদপুরসহ অন্য জেলায় সরবরাহ করেন।

বাজারে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এক বিঘা জমি থেকে প্রতি সপ্তাহে ৩-৪ মণ শিম পাওয়া যায়। বিঘাপ্রতি শিম উৎপাদন হবে ২৫-৩০ মণ। সেই হিসাবে শিম বিক্রি করে কৃষক আয় করবে প্রায় ৭০ কোটি টাকা।

চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার ঘুরে দেখা গেছে শীতকালীন সবজি শিম উঠতে শুরু করেছে। বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০-৯০ টাকা কেজি দরে।

বেগুন, লাউ, মরিচসহ অন্যান্য সবিজ চাষে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। তবে আগাম শিম চাষে যখন ফুল ও ফল ধরা শুরু করে তখন সপ্তাহে একবার ছত্রাকনাশক ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। অন্য ফসলের চেয়ে শিম চাষ লাভজনক, তাই অনেক কৃষক এ বছর শিম চাষ করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাশরুর বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪ উপজেলার ৪ হাজার ২৩১ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫শ’ বিঘা বেশি। উচ্চ মূল্যের ফসল ও অধিক লাভ হওয়ায় এর আবাদের পরিধি প্রতিবছর বাড়ছে। যেহেতু শীতকালে ৫/১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি, তারা যেন কম কীটনাশক ব্যবহার করে শিম চাষ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement